আইন আদালতঃ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাঁর কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
আজ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় মামলাটি করেন তিনি।
সোনারগাঁ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মামুনুল হকের সঙ্গে রয়াল রিসোর্টে যে নারী ছিলেন, তিনি আজ সকালে মামুনুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করা হয়। তদন্ত স্বাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা দেওয়া হবে।
জানা যায়, মামুনুল হক দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও দায়ের করা মামলায় জান্নাত নিজেকে মামুনুল হকের স্ত্রী বলেননি। তিনি বলেছেন, ‘অসহায়ত্ব ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামুনুল হক আমার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে মামুনুল করছি, করব বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১৮ সাল থেকেই ঘোরাঘুরির কথা বলে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে আমাকে নিয়ে যান।’
জান্নাত আরা ঝর্ণা সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, ‘মামুনুল হক দীর্ঘদিন ধরেই আমার সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। আমি রাষ্ট্রের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু গণমাধ্যমকে বলেন, সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে বাদীর সঙ্গে মামুনুল হক প্রতারণা করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে সম্পর্ক করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ৩০। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে করা মামলাটি তদন্ত করবেন সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, মামলা হওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জান্নাতকে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়ে যায় সোনারগাঁ থানা-পুলিশ।
মামুনুলের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে জান্নাত বলেন, ‘২০০৫ সালে তাঁর স্বামী মাওলানা শহীদুল ইসলামের মাধ্যমে মামুনুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। স্বামীর বন্ধু হওয়ায় আমাদের বাড়িতে মামুনুলের অবাধ যাতায়াত ছিল। মামুনুলের সঙ্গে পরিচয়ের আগে আমরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করছিলাম।
আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মতানৈক্যের মধ্যে প্রবেশ করে মামুনুল হক শহীদুল ও আমার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন। মামুনুলের কারণে আমাদের দাম্পত্য জীবন চরমভাবে বিষিয়ে ওঠে। সাংসারিক এই টানাপোড়েনে একপর্যায়ে মামুনুলের পরামর্শে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।’
-কেএম