অনলাইনঃ
পারি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মাত্র ২ টাকায় ঔষধসহ চিকিৎসাসেবা পেয়েছে প্রায় সহস্রাধিক সুবিধা-বঞ্চিত মানুষ।
ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে উত্তরা ১২ নং সেক্টর পার্কে সকাল ৯ টায় চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। বস্তিবাসী; গৃহকর্মি; সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোর; রিকশা/ভ্যান চালক; গার্মেন্টস কর্মী, ঝাড়–দার, দারোয়ান; দিনমজুর; হকার; ভিক্ষুক ও ভাসমান মানুষজন সকাল থেকে চিকিৎসা কেন্দ্রে এস হাজির হন।
বিগত তিন বছর যাবত প্রতি শুক্রবার এই মানুষগুলোকে ঔষধপত্রসহ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে পারি ফাউন্ডেশন। প্রতি বছরই বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বড় আকারে চিকিৎসাসেবার আয়োজন করে পারি ফাউন্ডেশন এবং পুরোবছর জুড়েই সাপ্তাহিত ফলোআপের মাধ্যমে রোগীরা সেবা পেয়ে থাকে।
পারি’র সভাপতি জনাব আবু তালেব জানান, যারা বস্তিতে বসবাস করেন তাদের বেশিরভাগই বাসা-বাড়িতে কাজ করেন, রিক্সা-ভ্যান চালান, দিনমজুর খাটেন কিংবা গার্মেন্টস এ কাজ করেন। অর্থ এবং সচেতনতার অভাবে অনেকেই সুচিকিৎসা নিতে পারেন না। এ মানুষগুলি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আমাদেরকেই সেবা দিয়ে থাকেন এবং দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমাদেরও উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। সেই বোধ থেকে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিশ্চিত হতে পারে অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা।
চিকিৎসাসেবায় উপস্থিত ছিলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: মো: আবদুল কাদের, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবুল খায়ের, সার্জারী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক দেব প্রসাদ পাল, অধ্যাপক দেবাশিষ দাস, গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক সুমাইয়া বারী, ডা: সাবিহা সুলতানা (রিমা) এবং ডা: হাফিজা আক্তার, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: জিনাত ডে লায়লা, ব্রেষ্ট, কোলোরেক্টাল ও জেনারেল সার্জন ডা: সোনিয়া আক্তার, দন্তরাগ বিশেষজ্ঞ ডা: সিফাত ফাতেমা, ইন্টার্নাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: নাফিসা আক্তারসহ আরো অনেকে।
পারি ফাউন্ডেশনের অন্যান্য স্বেচ্ছাশ্রমমূলক কর্মকান্ডগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: নিরন্ন মানুষের মাঝে নিয়মিত খাবার বিতরণ; বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বেঁচে যাওয়া উদ্বৃত্ত খাবার সংগ্রহ ও অসহায় ভাসমান মানুষের মাঝে বিতরণ; স্বেচ্ছায় রক্তদান; অসহায় ভাসমান মানুষদের পুনর্বাসন; ভাসমান মানুষদের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদান; প্রচন্ড শীতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ; উদ্বাস্তু মানুষের জন্য সার্বিক-সহায়তা প্রদান; সুবিধা-বঞ্চিত শিশু কিশোরদের নিয়ে জাতীয় দিবসসমূহ উদযাপন; প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন দুর্গত এলাকায় ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ; রমজানে অসহায় রোজাদারদের ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ; এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখির নিরাপদ-নিবাস প্রতিষ্ঠাকরণ।
-শিশির