স্পোর্টস ডেস্কঃ
পাকিস্তানকে ১৪ গোলে বিধ্বস্ত করেও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিলেন গোলাম রব্বানী ছোটন। নেপালি কিশোরীরা উপহার দিলো সেটাই।
এরপরও অবশ্য আটকে রাখা যায়নি বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৫ কিশোরীদের। নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেরা হয়ে সেমিতে পৌঁছে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
সেমিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভুটান। গ্রুপ ‘এ’তে ভারতের পেছনে থেকে রানার্সআপ হয়েছে দলটি। ১৬ আগস্ট বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় হবে ম্যাচটি।
থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক ফুটবলই ছিল নেপালের মূলমন্ত্র। তহুরা, মনিকা চাকমারা বল পায়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ঢোকা মাত্রই তাদের ঘিরে ধরেছেন প্রতিপক্ষের একাধিক খেলোয়াড়। তাতে বল পায়ে নিয়ন্ত্রণ থাকলেও গোলমুখে শট নেওয়া বেশ কঠিন হয়ে যায় বাংলাদেশি মেয়েদের জন্য।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে নেপালের আঁটসাঁট রক্ষণে ফাটল খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। গোল করেছিলেন ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন। তবে অফসাইডে সে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি।
গোল হারিয়ে মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৪২ মিনিটে বাঁপ্রান্ত দিয়ে ফরোয়ার্ড সাজেদা খাতুনের দারুণ এক প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন নেপালি গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধে অবশ্য আর খালি হাতে বিরতিতে যেতে হয়নি গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যদের। বিরতির ঠিক আগে অতিরিক্ত সময়ে কর্নার থেকে পাওয়া বলে আঁখি খাতুনের নেয়া শট তহুরা খাতুনের গায়ে লেগে জালে জড়ালে ১-০তে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজ কিশোরীরা।
প্রথমার্ধে যেখানে শেষ করেছিল দ্বিতীয়ার্ধে সেখান থেকেই শুরু বাংলাদেশের। ৫১ মিনিটে তহুরা খাতুনের শট নেপালি ডিফেন্ডার হেড করে বিপদমুক্ত করতে চাইলেও সেই বল পড়ে ডি-বক্সে মারিয়া মান্ডার পায়ে। সেখান থেকে ফিরতি বলে জোরালো এক শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লাল-সবুজদের অধিনায়ক।
বাংলাদেশের তৃতীয় গোলটি সাজেদা খাতুনের। নিজেদের ডি-বক্স থেকে উড়ে আসা বলকে পায়ে রেখে দুই নেপালি ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ৬৭ মিনিটে লাল-সবুজদের জয় নিশ্চিত করা গোলটি করেন এ ফরোয়ার্ড।
-ডিকে