সারাদেশঃ
গ্যাসের লিকেজ থেকে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ গতকাল ৬ সেপ্টেম্বর, রবিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে মনির ফরাজি (৩০) নামের আরেক যুবক মারা গেছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিন সন্ধ্যায় আব্দুল বাশার নামে আরেকজন মারা যান। সকালে মারা গেছেন জুলহাস এবং আলী মাস্টার আরো দুই জন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ১১ জন। এদের প্রত্যেকেরই শ্বাসনালি, মুখমণ্ডলসহ শরীরের সিংহভাগ পুড়ে গেছে।
শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় তারা কেউ আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিটুটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।
এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তারা হলেন— মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক নেসারি (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), মুন্সিগঞ্জের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), নারায়ণগঞ্জের হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), নারায়ণগঞ্জের কলেজ শিক্ষার্থী মো. রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টসকর্মী নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুবায়ের (৭), বাহার উদ্দিন (৫৫), ফটোসাংবাদিক নাদিম হোসেন (৪৫), শামীম হাসান (৪৫), জুলহাস, আব্দুল বাশার, মনির ফরাজি (৩০)।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সকলেই তল্লা এলাকায় থাকতেন। এ ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় জুয়েল নামের এক শিশুর।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়াহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
-কেএম