মনোনয়ন পেয়েও বাদ পড়তে পারেন অনেকে

অনলাইনঃ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে প্রভাবশালী প্রার্থী। আবার বেশ কিছু আসনে নতুন মুখকে বেছে নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা।

দলটির একটি সূত্র বলছে, মনোনয়নের চিঠি পেয়েও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না, তিনিই শেষ পর্যন্ত নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটের যুদ্ধে থাকবেন। নতুন চমকে পাল্টে যেতে পারে অনেক কিছুই।

ওই সূত্রটি আরো বলছে, রাজনীতির খেলায় বিরোধীদের উপর চাপ তৈরি করতে কিছু প্রার্থীর হাতে মনোনয়ন তুলে দেওয়া হয়েছে। মূলত তারা শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকবেন না। সেখানে আনা হবে নতুন কোনো প্রার্থীকে।

তাই অনেক প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো দু’একদিন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে মনোনয়ন না দিয়ে একরকম চমক সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ।

বাদ পড়া হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা-১৩ আসনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফরিদপুর-১ আসনে মনোনয়ন মনোনয়ন প্রত্যাশী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, মাদারীপুর-৩ আসনে শেষ পর্যন্ত দৌঁড়েও মনোনয়ন পাননি সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

এছাড়াও সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচন করছেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মনোনয়ন পেয়েছেন তার ভাই আব্দুল মোমেন।

বার্ধক্যজনিত কারণে গাজীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পাননি সাবেক মন্ত্রী রহমত আলী। বাদ পড়েছেন টাঙ্গাইলের আলোচিত সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা। হবিগঞ্জ ৪ আসন থেকে বাদ পড়েছেন মাহবুব আলী।

শরীয়তপুর ১ আসন থেকে বিএম মোজাম্মেল হক ও ২ আসনে শওকত আলী মনোনয়ন পাননি। দলীয় মনোনয়ন পাননি কক্সবাজারের সমালোচিত এমপি আবদুর রহমান বদি, তবে ওই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী।

মনোনয়ন দৌঁড়ে বাদ পড়া নেতারা দলের মনোনীত নেতাদের জন্য কাজ করবেন বলে আশা করছে আওয়ামী লীগ।

FacebookTwitter