নির্বাচনঃ
নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভোটগ্রহণের আগে নতুন কোনো ধরনের অনুদান ও ত্রাণ বিতরণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেইসাথে এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন ও প্রকল্পের অর্থছাড় বন্ধেরও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তবে বিদ্যমান কোনো কার্যক্রম থাকলে সেটা চলমান থাকবে বলেও কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল ৪ জানুয়ারি, শনিবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোট হবে। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে ফল প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো প্রকার চাঁদা বা অনুদান দিতে বা অঙ্গীকার করতে পারবে না।’ এই আইন অমান্য করলে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয় এতে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘নির্বাচনী কার্যক্রম প্রভাবমুক্ত রাখতে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রার্থী সংশ্নিষ্ট সিটি করপোরেশনের কোনো সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব সামগ্রী ভাড়ায়ও ব্যবহার করা যাবে না।’
এতে বলা হয়, ‘এমনকি সিটি করপোরেশনের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া, কোনো প্রার্থী সিটি করপোরেশনের দরপত্র আহ্বান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।’
নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করতে পারবে না উল্লেখ করে চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি বা আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অনুদান ঘোষণা, বরাদ্দ বা অর্থ অবমুক্ত করতে পারবে না। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর বা অন্য কোনো পদাধিকারী সংশ্নিষ্ট করপোরেশন এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা আগের অনুমোদিত প্রকল্পে কোনো অর্থ ছাড় করতে পারবে না।’
তবে বিদ্যমান কোনো কার্যক্রম থাকলে সেটা চলমান থাকবে। আর কোনো এলাকায় অনুদান-ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত নতুন কার্যক্রম গ্রহণ আবশ্যক হলে তা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে বলেও নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন।
-ডিকে