আন্তর্জাতিকঃ
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের তিরাপ জেলায় বন্দুক হামলায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) এমএলএ তিরোং আবোহ, তার ছেলে এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। তারা ঘটনাস্থলের মারা যান।
মঙ্গলবার তিনি আসাম থেকে তার পরিবারের সদস্যদের, এক পোল এজেন্ট এবং তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে নির্বাচনী কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের বহনকারী গাড়িটি তিরাপ জেলা থেকে ১২ মাইল দূরে হামলার শিকার হন।
খোনসা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের এমএলএ আবোহ কেন্দ্রটি থেকে এবারের নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যাণ্ডের (এনএসসিএন) জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় টাইমস অব ইন্ডিয়া। এর আগে তিরাপ ডেপুটি কমিশনার পিএন থুনগোনের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, এই হামলায় সাতজন নিহত হন।
কিন্তু পরে ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিজিপি) এস বি কে সিংহ এই হামলা ১১ জন নিহত হন বলে জানান। তিনি পিটিআইকে বলেন, আহত হওয়া এক নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে আসামের দিব্রুগড়ের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনপিপি প্রেসিডেন্ট এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কোনরাড কে সাংমা টুইট বার্তায় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি এই হামলার বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তিনি বলেন, দলের এমএলএ শ্রী তিরোং আবোহ (অরুণাচল প্রদেশ) এবং তার পরিবারের মৃত্যুতে অত্যন্ত মর্মাহত ও দুঃখিত এনপিপি। আমরা এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং রাজনাথ সিংহের কাছে আহ্বান জানাই।
সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশে লোকসভার পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যে অরুণাচল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি এক বিবৃতিতে এই হামলার জন্য ক্ষমাতসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) দায়ী করেছেন।
বিবৃতিটিতে বলা হয়, যদি রাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই বর্তমান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অধীনে নিরাপদ না থাকেন, তবে সাধারণ মানুষ কিভাবে নিরাপত্তা বোধ করবেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু এবং তার বিজেপি সরকারকেই এর দায় নিতে হবে।
এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে পেমা খান্ডু বলেছেন, হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরকে ধরার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রার্থনা করি নিহতদের আত্মা যেন শান্তিতে থাকে।