মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
সুতি শাড়ি পরা অতি সাদামাটা একজন নারী সেলাই মেশিনে সেলাই কাজে ব্যস্ত। মুখে তাঁর লাল কাপড়ের মাস্ক। অতি সাদামাটা এই মানুষটি একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।
গতকাল থেকে তাঁকে নিয়ে প্রচুর চর্চা হচ্ছে। উনি ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সহধর্মিণী সবিতা কোবিন্দ।
তিনি ভারতের ফার্স্ট লেডি হলেও চেহারা চাল চলনে নাই কোন জৌলুশ। মনে হয়, এইতো আমাদের ঘরেরই একজন মা খালা। সবিতা কোবিন্দ দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবা করে আসছেন।
রাষ্ট্রপতি ভবনের অভ্যন্তরে শক্তিহাটে বসে সবিতা কোবিন্দ অনেকগুলো মাস্ক নিজের হাতে বানিয়েছেন। কাপড়ের তৈরি এইসব মাস্ক নয়াদিল্লির আরবান শেল্টার ইম্প্রুভমেন্ট বোর্ডের অধীনে থাকা শেল্টার হোমগুলোর মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
করোনা যুদ্ধে ভারতের ফার্স্টলেডির এমন ব্যতিক্রম অংশগ্রহণ দেখে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে।
বাংলাদেশে ফার্স্টলেডি অধ্যায়ের বিলুপ্তি ঘটেছে এরশাদ পতনের সাথে।
পত্রিকার পাতায় টেলিভিশনে ফার্স্টলেডি রওশন এরশাদের দামী দামী শাড়ি পরা ছবি দেখতাম রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে।
একবার চলচ্চিত্র সমিতির উদ্যোগে মীনাবাজার অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেদিন মীনাবাজারের প্রধান অতিথি ছিলেন ফার্স্টলেডি রওশন এরশাদ। তিনি বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করছিলেন। ফার্স্টলেডির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার জন্য চিত্রজগতের শাবানা ববিতা রোজিনা সুচরিতা নূতন অঞ্জনা সুচন্দাদের প্রতিযোগিতায় সামিল হওয়ার ইতিহাসও আছে।
তবে রওশন এরশাদ দৃশ্যমান ফার্স্টলেডি থাকলেও আরেকজন “ছায়া ফার্স্টলেডি” ছিলেন — জিনাত মোশাররফ। যাক, ওই ইতিহাসের পাতা আজ নাই বা উল্টালাম।
-শিশির