বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল বিয়ের কড়চা!

বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল বিয়ের কড়চা
বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল বিয়ের কড়চা

মিলি সুলতানা,কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ
২০০৪ সালে ৫০০ কোটির বেশি ভারতীয় রুপি খরচ করে প্যারিসে ২০ বছর বয়সী কন্যা বানিশা মিত্তালের বিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের ইস্পাত শিল্পের সম্রাট লক্ষ্মী মিত্তাল।

পাত্র পেশায় ব্যাংকার ছিলেন। নাম অমিত ভাটিয়া। বিয়ের পোশাক বানিয়েছিলেন দুনিয়ার সেরা ডিজাইনাররা।
কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান শিখিয়েছিলেন নাচের ঝটকা। লুভর মিউজিয়ামের উল্টোদিকে বসেছিল সংগীতের আসর।

বিখ্যাত গীতিকার কবি লেখক জাভেদ আখতার লিখেছিলেন বিয়ের স্পেশাল নাটকের স্ক্রিপ্ট।

যাতে অভিনয় করেছিল গোটা মিত্তাল পরিবার। অতিথিদের রাজকীয় ভাবে রাখার জন্য খরচ হয়েছিল কয়েক কোটি রুপি। বিয়ের রাতের মূল আকর্ষণ ছিল ঐশ্বরিয়া রাইয়ের নাচ।

নাচের সময় অ্যাশের অসাধারণ শরীরী মুদ্রা দেখে মনে হয়েছিল স্বর্গ থেকে বুঝি মর্তে নেমে এসেছে কোনো অপ্সরা।

বানিশা মিত্তালকে মেহেদি পরাতে ভারত থেকে উড়ে গিয়েছিলেন শিল্পীরা। উড়ে গিয়েছিলেন শাহরুখ খান‚ রানি মুখার্জি‚ জুহি চাওলা‚ সাইফ আলি খান। কয়েক লাখ রুপি খরচ করে তাদের দিয়ে অভিনীত হয়েছিল হাস্য কৌতুকেভরা নাটক।

ঐতিহাসিক ভ্য লো ভক্নতে এস্টেটে বসেছিল বিয়ের আসর। ভারত থেকে শিল্পীরা গিয়ে বানিয়েছিলেন উদ্যানের সরোবরে নকল পদ্ম। সেই প্রস্ফুটিত পদ্মে বসে বিয়ে করেছিলেন বানিশা-অমিত। মণ্ডপ সাজাতে হল্যান্ড থেকে গিয়েছিলেন ফ্লোরিস্টরা।

কলকাতা থেকে শেফ মুন্না মহারাজ গিয়ে রান্নার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে বিয়ের খাবারের মেন্যু ছিল সম্পূর্ণ নিরামিষ।বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা কাইলি মিনোগ। আইফেল টাওয়ারে আয়োজন করা হয়েছিল আতশবাজির। সব মিলিয়ে‚ ভার্সেই প্রাসাদকে চতুর্দশ লুইয়ের রাজত্বকালের থেকে কোনো অংশে কম করেননি লক্ষ্মী মিত্তাল কিন্তু ২০০৪ সালে হওয়া বিশ্বের এই মহার্ঘ্যতম স্বপ্নসম বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হলো না।

এক দশক পূর্ণ হওয়ার আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা আদালতে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে আলাদা হয়ে যান বানিশা মিত্তাল অমিত ভাটিয়া।

-/ডেস্ক

FacebookTwitter