জাতীয়ঃ
বিশ্বব্যাপী পালিত হবে মুজিব বর্ষ। এটা বাংলাদেশ হোস্ট কান্ট্রি হলেও সারাবিশ্বেও এটি পালিত।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে অনেকগগুলো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দক্ষতা বাড়াতে অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের কর্মীরা কাজে খুবই দক্ষ। তাদেরকে একটু সুবিধা, একটু সুযোগ করে দিলেই তারা অনেক ভাল করতে পারে, তাদেরকে কেউ আটকাতে পারবেনা। দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমেও তাদের একটা সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে তাই এটার সাধুবাদ জানাই। আমরা প্রথম শিল্প বিপ্লকে ফেইল করেছি, দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবও আমরা অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। তৃতীয় শিল্প বিপ্লব চলমান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অংশ গ্রহণ করছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নলেজ বেইজড সব কিছুই পরিবর্তন আসবে টেকনোলজির মাধ্যমে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ স্বগৌরব উপস্থিতি থাকবে। দক্ষতা বাড়াতে আমাদের অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে, এগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শতভাগ মানুষকে যথোপযুক্ত দক্ষতার আওতায় আনতে হবে। আজ (শনিবার) রাজধানীর একটি হোটেলে দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন শুরু শীর্ষক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি এসব কথা বলেনা। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনএসডিএর নির্বাহী চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। আরো বক্তব্য রাখেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ।
মনমোহন প্রকাশ বলেন, উন্নয়ন টেকসই করতে বাংলাদেশকে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। স্বল্প মজুরী আর কম দক্ষতাপূর্ণ এ কর্মসংস্থান বাজার দিয়ে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব না। দীর্ঘ মেয়াদে উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশকে শিক্ষা খাতে বিশেষত কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে। দক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, বাংলাদেশের ৩৫ শতাংশ যুবক ১৫ বছরের উর্দ্ধে তাদের দক্ষতা বাড়াতে সর্বোচ্চ উদ্যাগ নিতে হবে সরকারকে। একই সাথে সেবা ও উৎপাদনশীল খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে কর্মীদেরও হাতে কলমে শেখাতে হবে। দেশের যুবকদের মধ্যে দক্ষতা বাড়াতে শুরু হলো জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতা।
বক্তারা আরো বলেন, সাড়ে ১৬ কোটি এ দেশের জনসংখ্যার যুবদের সংখ্যা বিপুল হলেও আন্ত:র্জাতিক মান দন্ড অনুযায়ী দক্ষতা অর্জনে তারা এখনো পিছিয়ে। দেশের প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা, কারিগরি শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা, যুবদের দক্ষতা উন্নয়নে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও একক কোন সংস্থা না থাকায় গুণগত প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কর্মসংস্থানে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়ছে তারা। মান অনুযায়ী কাজ না থাকায় বেতনও সন্তোষজনক হচ্ছে না। এ অবস্থায়, সরকারি -বেসরকারি সকল খাতের সক্রিয় অংশ গ্রহণে এই জাতীয় দক্ষতা প্রতিযোগিতার শুরু বলে জানান তারা।
-কেএম