সারাদেশঃ
যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ও একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে ‘টাক মিলন’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সকালে তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় তাকে রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করবে পুলিশ।
এর আগে ১২ জানুয়ারি, রবিবার সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাহিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করার পরদিন সোমবার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। দুবাই থেকে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে গ্রেপ্তার হন তিনি।
এ বিষয়ে যশোর পুলিশের মুখপাত্র মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জাহিদ হোসেন মিলনের বিরুদ্ধে আদালতের তিনটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নানা অপরাধে তথ্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ছিল। তিনি দুবাই থাকেন এবং প্রায়ই দেশে আসেন, এমন তথ্য ছিল পুলিশের কাছে।’
তিনি আরো জানান, এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে ফেরার পথে ইমিগ্রেশন পুলিশ মিলনকে গ্রেপ্তার করে আমাদের অবহিত করে।’
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সূত্র মতে, যশোর শহরের পুরাতন কসবার রোস্তম আলীর ছেলে জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলন (৪৭) নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনটি মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকাণ্ডের মূলপরিকল্পনাকারী জাহিদ হোসেন মিলন। এই মামলায় আটক এক আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে মিলনের নাম এসেছে। এ মামলার সন্দিগ্ধ আসামি তিনি।
এছাড়াও ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত টাক মিলন। তার নেতৃত্বেই এ হামলা চালানো হয়েছিল বলেই পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এই দুটি মামলায় আদালতে রিমান্ড আবেদন করবে পুলিশ।
-কেএম