ডেস্ক রিপোর্টঃ
জাতীয় অধ্যাপক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে এপার-ওপার দুই বাংলাতেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ১৪ মে, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়।
এর পর থেকেই, সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে শোকবাণী আসতে থাকে গণমাধ্যমজুড়ে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের ছাত্রী ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রিয় স্যারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শোকবার্তায় প্রিয় শিক্ষক ড. আনিসুজ্জামানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। করেন স্মৃতিচারণে। কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করেন শিক্ষা ক্ষেত্রে তার অনন্য অবদানের কথা।
স্মৃতি তুলে ধরে শোকবার্তায় শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘আমি স্যারের টিউটোরিয়াল গ্রুপের শিক্ষার্থী ছিলাম। তার মতো বিদগ্ধ ও জ্ঞানী মানুষের মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’ এছাড়াও মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, দেশ বরেণ্য এই সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের লেখক-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীরা। সেখানকার বিশিষ্টজনদের তরফ থেকে ‘সারা ভারত শান্তি ও সংহতি সংস্থা’ও শোক জানান এই গুণীজনের মৃত্যুতে।
সংস্থার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি এক শোকবার্তায় জানায়, ‘অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যু শুধু বাংলাদেশের ক্ষতি নয়, এ রাজ্যের এবং ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী সব মানুষের পক্ষেও বিরাট ক্ষতি।’
প্রসঙ্গত, ৮৩ বছর বয়সী এই অধ্যাপক হৃদরোগের সমস্যা ছাড়াও কিডনি ও ফুসফুসে জটিলতা, পারকিনসন্স ও প্রস্টেটের সমস্যায় ভুগছিলেন।খ্যাতিমান অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে। ভারত ভাগের পর তারা এপারে চলে আসেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন আনিসুজ্জামান। এই ভূখণ্ডে ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী নানা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে তার।
-ডিকে