আর্ন্তজাতিকঃ
শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করছে ভারত। গত প্রায় এক বছর ধরে ওই আইন নিয়ে আন্দোলন করছিলেন দেশটির কৃষকরা।
শুক্রবার জাতীর উদ্দেশে ভাষণে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার অর্থ, কেন্দ্রীয় সরকার তথা মোদী পিছু হঠলেন।
যে কৃষি আইন বলবৎ করা নিয়ে অনড় ছিল কেন্দ্র, সেই অবস্থান থেকে সরে এলেন তারা। আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে মোদীর আক্ষেপ, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল।
কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি।’’
আন্দোলনের পথ ছেড়ে কৃষকদের আবার চাষের ক্ষেতে ফিরতেও আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আসুন, সব আবার নতুন করে শুরু করা যাক।’’
পাশাপাশি তার মন্তব্য, ‘‘এখন কাউকে দোষারোপের সময় নয়।’’
গুরু নানকের জন্মদিবসে মোদীর এই ঘোষণা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন দেশটির রাজনীতিকরা। কারণ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থানকারী কৃষকদের বড় অংশই পঞ্জাব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাদের শিখ এবং জাঠ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অনেক।
আগামী বছরের গোড়াতেই ওই পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিলে সংশোধন করে আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্তানে বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিশেষত, পঞ্জাবে সেই বিক্ষোভের আগুন তীব্র হতে থাকে। রাস্তা অবরোধ, রেল রোকো-আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ জানায় কৃষক সংগঠনগুলো। তাদের অভিযোগ, নতুন আইনের ফলে লোকসানের মুখে পড়বেন কৃষকেরা।
ফসল নিয়ে তাদের দরাদরির ক্ষমতা কমে যাবে, প্রচলিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হবেন তারা। পাশাপাশি, বেসরকারি এবং বড় সংস্থাগুলোর কাছে কৃষিপণ্য মজুত রাখার রাস্তাও খুলে যাবে।
যদিও মোদী সরকারের পাল্টা দাবি, নতুন কৃষি আইনে কোনও ভাবে কৃষকেরা বঞ্চনার শিকার হবেন না। এমএসপি ব্যবস্থাও থাকবে।
-কেএম