আর্ন্তজাতিকঃ
জনবহুল বাজারে বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার হাঁসখালিতে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলে রাতে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। আক্রান্ত বিজেপি নেতা ভরতি হাসপাতালে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম তিলক বর্মন। দলের ৩৮ নম্বর জেলা পরিষদ মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে যখন হাঁসখালির বগুলা বাজারে দাঁড়িয়েছিলেন তিলক, তখন আচমকাই বাইকে করে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।
তবে মাথার কাছ দিয়ে গুলি বেরিয়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। এরপরই ওই বিজেপি নেতাকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন হামলাকারীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন বিজেপি জেলা পরিষদ মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়ার বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। বেশি রাতে তিলক বর্মনকে স্থানান্তরিত করা হয় কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে।
এদিকে বিজেপি নেতা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দলের নেতাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলে বগুলা বাজারে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। শেষপর্যন্ত পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মাস ছয়েক আগে নদিয়ার মাজদিয়া ফুলবাড়ি এলাকায় নিজের পাড়ায় সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান যোগ দিতে গিয়ে খুন হয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। অনুষ্ঠান মঞ্চেই খুব কাছ থেকে বিধায়ককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন
-কেএম