অনলাইনঃ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের বিভিন্ন দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রকল্পটির বিভিন্ন ভবনের জন্য বিছানার চাদর-বালিশ ও বিভিন্ন আসবাবপত্র কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। যা ‘বালিশকাণ্ড’ হিসেবে আলোচিত হয়।
এ দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৩ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুদক।
গতকাল ৩ নভেম্বর, রবিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক নাসির উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়, তলব করা ৩৩ কর্মকর্তাকে ৭ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জানা যায়, যে ৩৩ জনকে ডাকা হয়েছে তাদের মধ্যে ২৯ জনই গণপূর্ত অধিদপ্তরে কর্মরত, বাকি চার কর্মকর্তা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন রূপপুর প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট।
তলব করা কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা গণপূর্ত অধিদপ্তরে কর্মরত, তারা হলেন- পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তারেক, মো. তাহাদুজ্জামান, মো. কামরুজ্জামান, মো. মোস্তফা কামাল, মো. আবু সাঈদ, মো. ফজলে হক, মো. শরীফুল ইসলাম, আহমেদ সাজ্জাদ খান, সুমন কুমার নন্দী, মো. শাহীন উদ্দিন, মো. আমিনুল ইসলাম, জাহিদুল করিম, রাজশাহী গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম জিল্লুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী খন্দকার মো. আহসানুল হক, খোরশেদা ইয়াছবিরা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নজিবুর রহমান, মো. শফিকুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন, শাহনাজ আক্তার, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মো. মকলেসুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম, পাবনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেবাশীষ চন্দ্র সাহা, সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, মো. রওশন আলী, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শফিউজ্জামান, রওশন আলী ও মো. রফিকুজ্জামান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তারা হলেন- প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর, উপপ্রকল্প পরিচালক মো. হাসিনুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান ও মো. মাহবুবুর রহমান। এই চার কর্মকর্তাকে ১৩ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাদের দেয়া নোটিশের কপি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত পাবনা ও রাজশাহী জোনের কর্মকর্তাদের ৭ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের দেওয়া নোটিশের কপি গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
-কেএম