বাংলাদেশ-ভারত পাইপলাইন নির্মাণ এ মাসেই

অনলাইন ডেস্কঃ

বাংলাদেশ-ভারত তেল পাইপলাইন নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে চলতি মাসেই। এর আগে আন্তঃদেশীয় বিদ্যুত সংযোগ স্থাপন হয়েছে। আর এবার হতে যাচ্ছে তেল পাইপলাইন স্থাপনের কাজ।

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পাবর্তীপুর পর্যন্ত এই পাইললাইনের দৈর্ঘ্য হবে ১৩৬ কিলোমিটার। এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি প্রকাশিত দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, এ বছরের শুরুর দিকে দুদেশের মধ্যে এই পাইপ লাইন নির্মাণের বিষয়ে এক চুক্তি হয়। পাইপ লাইনটির ধারণ ক্ষমতা হবে ১০ লাখ টন। বিপিসিএলের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আসামভিত্তিক নুমালিগড় রিফাইনারি ভারতীয় অংশের ৬ কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মাণের খরচ দেবে। বাকি থাকে ১৩০ কিলোমিটার।

এই ১৩০ কিলোমিটার পাইপ লাইন পড়েছে বাংলাদেশের ভিতরে। এ অংশের কাজ করা হবে ভারতের চলমান উন্নয়ন বিষয়ক সহযোগিতা কর্মসূচির অধীনে। সেখান থেকেই এ অংশের খরচ বহন করা হবে। পুরো প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩৬০ কোটি রুপি। শেষ হতে পারে ২৭ মাসের মধ্যে।

বর্তমানে ৫১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে রেলের মাধ্যমে আসে ডিজেল। এই পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হলে রেলের মাধ্যমে আর ডিজেল আনতে হবে না। ২০১৬ সালের মার্চে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি একটি চুক্তি হয় ভারতের। ওই চুক্তির অধীনে ভারতের এনআরএল উৎপাদিত ইউরো-থ্রি ডিজেল পাঠানো শুরু হয় বাংলাদেশে।

বর্তমানে প্রতি মাসে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে গড়ে প্রায় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার কিলোলিটার ডিজেল বাংলাদেশে পাঠায় এনআরএল। সীমান্ত অতিক্রম করে এভাবে বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম বা জ্বালানি পাঠানোতে বাংলাদেশ অনেকটা হ্যাঙ্গামা থেকে রেহাই পেয়েছে। কারণ, আগে চট্টগ্রাম থেকে নদী ও সড়কপথে আমদানি করা জ্বালানি পাঠানো হতো উত্তরাঞ্চলে।

এনআরএল কোম্পানি তার উৎপাদিত ডিজেলের বেশির ভাগই চালান দেয় উত্তরাঞ্চলে ও উত্তর বিহারের কিছু অংশে। এখন তারা শুধু বাংলাদেশ নয়, টার্গেটে নিয়েছে মিয়ানমারকেও। সেখানকার উত্তরাঞ্চলে ডিজেল সরবরাহ দিতে চায় এনআরএল।

এর আগে কিছু সময় ধরে মিয়ানমারকে স্থলপথে প্যারাফিন ওয়াক্স ও ডিজেল সরবরাহ করেছে এনআরএল। কিন্তু এতে অত্যধিক খরচ পড়ে বলে মিয়ানমারের অংশীদার পারামি এনার্জি এসব জ্বালানি নেয়া বন্ধ রেখেছে। ফলে ব্যবসাকে সচল রাখতে এখন এনআরএলের সামনে একটি পাইপলাইন নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে, যেটা যাবে মনিপুরের মোরেহ-তামু সীমান্ত পর্যন্ত।

-ডিকে

FacebookTwitter