বাংলাদেশে ভারতের প্রথম ডিজাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কেন্দ্র

শিক্ষাঃ

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত ভারতের প্রথম ও একমাত্র ডিজাইন বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ডিজাইন (ডব্লিউইউডি) বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোতে ভর্তি কেন্দ্র চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতার জন্য নিবেদিত এই বিশ্ববিদ্যালটিতে ভর্তির সুুযোগ পাবেন। ইংরেজি ভাষাভাষীর দিক থেকে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও বিশ্বমান সম্পন্ন শিক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করছে।

সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য তিন বছর মেয়াদী ভিসার ঘোষণা দেওয়ায় বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়।

সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন, একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং ইন্ডাস্ট্রি প্রস্তুতির জন্য বাস্তব জ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি অনন্য শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ডিজাইন আন্ডার গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন উভয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজাইনের ভিত্তিক একটি উন্নত মানের শিক্ষা পরিবেশ তৈরি করতে চায়।

৩০টি বিশেষায়িত আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্রাজুয়েড প্রোগ্রামসহ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সৃজনশীল কোর্স ক্যাটালগ যেমন- ফ্যাশন, প্রোডাক্ট, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গ্রাফিক কমিউনিকেশন, ভিজ্যুয়াল আর্টস, ডিজাইন ম্যানেজমেন্ট, রিটেইল ম্যানেজমেন্ট, প্রফেশনাল অটোমোটিভ মডেলিং এবং আর্কিটেকচার।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ডিজাইন-এর ভাইস চ্যান্সেলর ড. সঞ্জয় গুপ্ত বলেন, বর্তমানে বেশিরভাগ ব্যবসার উল্লেখযোগ্য অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিজাইন। ডিজাইনে রয়েছে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ যেমন- পাবলিশিং, ফার্নিচার, ফ্যাশন, সফ্টওয়্যার, এফএন্ডবি, কনজ্যুমার প্রোডাক্টস, অটোমোবাইল, ইলেক্ট্রনিক্স, কনস্ট্রাকশন, পাবলিকেশন, মিডিয়াসহ আরও অনেক। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ডিজাইন থেকে একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে, একটি ভালো ব্র্যান্ডে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে তাদের কর্মজীবন শুরু করলে বছরে প্রায় ৩.৩৯ লাখ থেকে ১১.৩০ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। এই স্যালারি প্যাকেজটি সহজেই আয় করা সম্ভব এবং এটি নিঃসন্দেহে প্রতিযোগিতামূলক’।

বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমন্বয় রয়েছে যেমন- ইউনিভার্সিটি অব হার্দাসফিল্ড; অক্সফোর্ড ব্রুক্স ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব দি ওয়েস্ট অফ স্কটল্যান্ড, ইউকে; এমিলি কার ইউনিভার্সিটি অব আর্ট এন্ড ডিজাইন এবং ভ্যানকুভার ফিল্ম স্কুল, কানাডা; একলো ন্যাশনাল সুপেরিয়র ডেস আর্টস এট ইন্ডাস্ট্রিজ টেক্সটাইল (ইএনএসএআইটি), ফ্রান্স। ডব্লিউইউডি-তে দেশের সৃজনশীল কোর্সের বৃহত্তম পরিসীমা রয়েছে। এটি একটি ইউনিক কারিকুলাম অনুসরণ করে যেটি গবেষণা, একাডেমিক এক্সিলেন্স, শিল্প প্রস্তুতি এবং সামাজিক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে।

ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে একটি ডিজাইন এ্যাপ্টিটিউড টেস্ট (ডিএটি) দ্বারা ভর্তি প্রক্রিয়া শুর হবে এবং এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য রয়েছেhttp://www.worlduniversityofdesign.ac.in/ ওয়েবসাইটে।

বাংলাদেশেী শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে কর্মসংস্থানের সুযোগ, অন্যান্য সম্ভাবনা ও সম্মানীর জন্য কাউন্সেলিং এর অংশ হতে পারবেন।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব ডিজাইন (ডব্লিউইউডি) হারিয়ানার সনিপাটের রাজীব গান্ধী এডুকেশন সিটির শিক্ষা কেন্দ্রে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালটিতে রয়েছে উচ্চশিক্ষা ও মান সম্পন্ন ফ্যাকাল্টি মেম্বার যারা, এনআইএফটি, এনআইডি, এলসিএফ-লন্ডন, এফআইটি-নিউইয়র্ক, এসপিএ এবং দিল্লী কলেজ অব আর্ট থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টি স্টুডেন্ট-লার্নিং অভিজ্ঞতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। এটি একটি প্রসিদ্ধ উপদেষ্টা বোর্ড দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত যাতে রয়েছে, এজি কৃষ্ণা মেনন, পায়াল জাইন, পিটার ডি এসকলি, অমরদীপবেল এবং নেহাল কিরপাল এর মতো ব্যক্তিত্বরা।

এছাড়াও ডব্লিউইউডি কামুলাস, দি ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিস এন্ড কলেজ অব আর্ট এবং ডিজাইন এন্ড মিডিয়ার পূর্ণ সদস্য যাদের ৬০ দেশে ১৬০ এরও বেশি সদস্য রয়েছে। এটি ডব্লিউইউডি-এর শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগের দারুণ সুযোগ তৈরি করে দেয়।

আরবি

FacebookTwitter