স্বাস্থ্যঃ
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিটুবি কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘মোকাম’ এবং ইন্দোনেশিয়ান এফএমসিজি ও হেলথকেয়ার জায়ান্ট ‘কালবে’ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘৩৮তম ট্রেড এক্সপো ইন্দোনেশিয়া’-তে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ছিল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালবে ইন্টারন্যাশনাল-এর পরিচালক বুজুং নুগরোহো এবং বাংলাদেশ ও নেপালে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবোলো।
এফমসিজি ও ফার্মাসিউটিক্যালস উভয় ক্ষেত্রে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ‘কালবে’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ সর্বজনীনভাবে তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান, যার মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘কালবে’ ধারাবাহিকভাবে বিস্তৃত পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহকারী একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে।
কালবে বিশ্বব্যাপি সুপরিচিত নাম, যা তাদের ফার্মাসিউটিক্যালস এবং স্বাস্থ্যসেবায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া’র জায়ান্টে পরিণত করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং আফ্রিকার কিছু দেশসহ বিশ্বব্যাপি বিভিন্ন দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কালবে মূলত ফার্মাসিউটিক্যালস, ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) ওষুধ, পুষ্টিকর ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা-সম্পর্কিত পণ্য উৎপাদন-বিতরণ সেবা প্রদানের জন্য বিখ্যাত।
ইন্দোনেশিয়াজুড়ে শক্তিশালী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার পর কালবে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করেছে।
মোকাম-এর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কালবে বাংলাদেশের উদীয়মান বাজারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তারে আগ্রহী।
অন্যদিকে, শপআপ-এর বিটুবি কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘মোকাম’ মিল ও প্রস্তুতকারকদের সাথে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের সংযুক্ত করে।
বর্তমানে দেশব্যাপি মোকামের ক্ষুদ্র ব্যবসায় ও দোকান নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ২ কোটি মানুষ খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর অ্যাক্সেস পাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মোকাম সিপিজি-এর সিইও নাজির আহমেদ বলেন, “কালবে’র মতো একটি স্বনামধন্য সংস্থার সাথে অংশীদারিত্ব এবং তাদের উচ্চমানের পণ্যগুলো দেশের জনগণের কাছে সহজলভ্য করতে পারা আমাদের জন্য গৌরবের৷
উক্ত পণ্যগুলো সাশ্রয়ী মূল্যে ক্ষুদ্র ও খুচরা দোকানে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেবার সুযোগ পেয়ে আমরা আনন্দিত। এই অংশীদারিত্ব, দেশজুড়ে আমাদের একটি শক্তিশালী ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক তৈরির একটি প্রমাণস্বরূপ।”
মোকাম-এর চীফ অব স্টাফ মো: জিয়াউল হক ভূঁইয়া বলেন, “কালবে’র সাথে এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতাদের সর্বোত্তম পণ্য ও পরিষেবা প্রদানে আমাদের লক্ষ্যের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক পূরণ হবে।
এটি বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং খুচরা বিক্রেতাদের ক্ষমতায়নের আমাদের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভবিষ্যতে এমন অসংখ্য সফল অংশীদারিত্ব স্থাপনে আমরা আশাবাদী।”
দেশব্যাপি ভোক্তাদের জন্য সেরামানের স্বাস্থ্যসেবা ও এফএমসিজি পণ্যের সহজলভ্যতা বৃদ্ধিতে মোকাম এবং কালবে’র মধ্যকার অংশীদারিত্ব একটি যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনস্বরূপ।
একইসাথে এটি বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া’র মধ্যকার সহযোগিতামূলক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায়ের প্রারম্ভ্য হবে।
-শিশির