বাঁচতে হবে আমাদেরই

বাঁচতে হবে আমাদেরই
বাঁচতে হবে আমাদেরই

সম্পাদকীয়

বাঁচাতে বাঁচতে সরকার এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা নানান ভাবে করোনাভাইরাস প্রতিহতের পদ্ধতি শিখিয়েই চলেছেন। মাত্র কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস মানলেই আমরা করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারি। এর মধ্যে ‘ঘরে থাকা’ অন্যতম কৌশল। কিন্ত মাসের পর মাস ঘরে থাকলে আমাদের মতন উন্নয়নমীল দেশের কি চলে?

আমাদের মতন দেশের মানুষের বেশি সমস্যা হলো অর্থনৈতিকভাবে আমরা স্বচ্ছল নই। মাসের পর মাস ঘরে থাকলে আমাদের অর্থ যোগান দিবে কে? সরকারতো দু মাসের বেশি সময় লক্ষ লক্ষ মানুষদের নগদ অর্থ, খাদ্য সহায়তা দিয়েই যাচ্ছে। এছাড়া, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বেসরিকারি সংস্থা, সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তো নিরলসভাবে জনগণের পাশে থাকছেই। এর পরও আমাদের প্রায় ১৭ কোটির জনগণের দেশে মানুষের জীবিকা সচল রাখতে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার কোন বিকল্প নেই।

আর অল্পকিছু সময় পরই আমাদের দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ধাপে ধাপে দেওয়া লকডাউন বা সরকারি সাধারণ ছুটির সময় শেষ হয়ে যাবে। কিন্ত প্রতিবেশী দেশ ভারতে আরও একমাস লকডাউন বাড়িয়েছে।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলা লকডাউন বা সরকারি ছুটিতে জনগণকে দেওয়া করোনাভাইরাস থেকে নিজকে রক্ষা করার নানান কৌশল শেখানো হয়েছে। মোটামুটিভাবে দেখা যায় সবাই অন্তত মুখে একটি মাস্ক ব্যবহার করছেন। দেশে এই মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বিভিন্ন সংস্থা লকডাউন বা সরকারি ছুটি প্রত্যাহারের ফলাফল নেতিবাচক হিসেবে ভবি মন্তব্য করেছে। কিন্ত আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ছুটি প্রত্যাহারও অতি জরুরি।

বিগত দুই মাসের বেশি সময়ের প্রশিক্ষণকে পুঁজি করে বাঁচতে হবে আমাদেরই।

FacebookTwitter