আন্তর্জাতিকঃ
কৃষাঙ্গ আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড হত্যার জেরে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভের ঝাঁজে এবার তেতে উঠেছে যুক্তরাজ্য৷ হাজার হাজার মানুষ পুরো যুক্তরাজ্যজুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডন, ম্যানচেস্টার, কার্ডিফ, লিসেস্টার এবং শেফিল্ডসহ বিভিন্ন শহরে।
লন্ডনে বিক্ষোভকারীরা হাঁটু গেড়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর ‘ন্যায়বিচার ছাড়া শান্তি নেই’ এবং ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন গুরুত্বপূর্ণ’ এমন শ্লোগানে শ্লোগানে বিক্ষোভএলাকা মুখর করে তোলে।
দিনের শুরুতে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও সন্ধ্যায় ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
বিবিসির সংবাদদাতা টম সাইমন্ডস বলেছেন, পুলিশ লাইনে বোমা ও আতশবাজি নিক্ষেপ করার পরে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, এসব আঘাত প্রাণঘাতী নয়। মূলত একটি ছোট গ্রুপ ‘ক্রুদ্ধ হয়ে এবং সহিংসতার উদ্দেশ্যে’ এসব কাজে জড়িত থাকায় চৌদ্দ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ১০ জন কর্মকর্তা আহত হয়েছে।
এক টুইটে লন্ডনের মেয়র সাদিক খান প্রতিবাদকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আমি আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের ক্ষোভ এবং ব্যথার আমিও সমব্যথী।’ অল্প সংখ্যক মানুষের হিংসাত্মক হয়ে ওঠার কারণে এটি হতাশ করেছে বলে তিনি যোগ করেন।
করোনাভাইরাসজনিত কারণে জনসমাগমের বিরুদ্ধে কর্মকর্তারা পরামর্শ দেয়ার পরেও বিক্ষোভ চলতেই থাকে।
স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, শারীরিক দূরত্বের পরামর্শটি ছিল ‘আমাদের সকলের নিরাপত্তার জন্য’। আর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ডেম ক্রেসিদা ডিক এমন বিক্ষোভ ‘বেআইনী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।