করোনাঃ
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় করোনা পজিটিভ ৭ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনসহ মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠীতে ২ জন করে এবং পটুয়াখালীতে ১ জন করোনা পজিটিভি ছিলেন।
বাকিরা করোনার উপসর্গে মারা যান।
এছাড়া বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যালের আরটিপিসিআর ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। বরিশালে করোনা শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ৬৪ ভাগ। বিভাগীয় সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, আজ থেকে নতুন করে শুরু হওয়া লকডাউন কার্যকরে বরিশালে সকাল থেকে টহল দিতে দেখা গেছে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের। শহরের প্রবেশমুখ ও বিভিন্ন এলাকায় চেক পোষ্ট বসিয়ে আইন অমান্যকারীদের শাস্তির আওতায় আনছে বলে জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। যে কোনও মূল্যেই এবার কঠোর লকডাউন কার্যকর করবেই বলে জানিয়েছে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি সকালে তেমন দেখা যায়নি। তবে গতকাল রাজধানী ঢাকা থেকে যারা রওনা হয়েছিলেন সাঝ সকালে বাড়ি ফেরার পথে গণপরিবহন না পাওয়ায় তারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একই সময় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এছাড়াও করোনামুক্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা যান একজন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এই ২২ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগের দিনও রামেক করোনা ইউনিটে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যাদের মধ্যে করোনা পজেটিভ ছিল ৭ জনের।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে রাজশাহীর ১১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারজন, নাটোরের দুইজন, নওগাঁ একজন ও পাবনার ৪ জন। এদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং আটজন নারী।
মৃতদের মধ্যে আট জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। এছাড়াও ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে দুইজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে একজন।
এ নিয়ে চলতি মাসে (১ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪১১ জনে। এর আগে গত জুন মাসে মারা যায় ৪০৫ জন।
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ডে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৬১ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬২ জন। শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে ৫১৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছেন ৪১২ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ২০ জন।
করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৪১২ জনের মধ্যে ১৮৬ জনের করোনা পজেটিভ রয়েছে। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭৩ জন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় চিকিৎসাধীন ৫৩ জন।
রামেক পরিচালক জানান, বৃহস্পতিবার দুটি ল্যাবে রাজশাহীর ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এর আগের দিন গত বুধবার ছিল ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং গত মঙ্গলবার ৩৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
-কেএম