অনলাইনঃ
মোহাম্মদপুর বছিলার মেট্রো হাউজিংয়ে জঙ্গী আস্তানার বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, জঙ্গি আস্তানায় কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। তিনটি পা দেখা গেছে। এখনও আস্তানায় আগুন জ্বলছে। বাংলাদেশে কেউ জঙ্গিবাদে জড়ালে ছাড় দেয়া হবে না।
আস্তানা পরিদর্শন শেষে সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, এখন সুইপিং চলছে। বোমা ডিসপোজাল ইউনিট সুইপিং করছে। র্যাবের স্পেশাল ফোর্স ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে বাড়িটিতে যায় র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট। র্যাব সদস্যরা এ সময় আস্তানা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েন।
অভিযানে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। ড্রোন দিয়ে জঙ্গি আস্তানার ভেতরের ও বাইরের অবস্থা জানার চেষ্টা করছে র্যাব ইনটেলিজেন্স শাখা। আনা হয়েছে অত্যাধুনিক মেশিন, যা দিয়ে দূর থেকে আস্তানার ভেতরের শব্দ ও কথাবার্তা শোনা যায়।
এর আগে রাত সাড়ে তিনটার দিকে মোহাম্মদপুর বছিলার মেট্রো হাউজিংয়ে অভিযান শুরু করে র্যাব। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়েই বিস্ফোরণ ঘটে আস্তানায়। এরপর ভোর ৫টার দিকে বড় বিস্ফোরণ ঘটে।
বাড়িটি ঘেরাও করার পরই কেয়ারটেকারসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। তারা হলেন- কেয়ারটেকার সোহাগ, সোহাগের বউ মৌসুমী ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইউসুফ।
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, টিনশেড বাড়িটির কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ওই টিনশেড ভবনে কারা কারা থাকেন। কিভাবে ভাড়া নিয়েছেন। সোহাগ ওই এলাকায় ডিশের ব্যবসা করেন। টিনশেড বাড়িটির পাশে একটি মসজিদ রয়েছে। সম্প্রতি মসজিদটি সম্প্রসারণ করে মাদরাসা করার কথাও চলছিল। মসজিদের ইমাম ইউসুফকেও তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে সম্প্রতি যে দুই যুবক ভাড়ায় ওই বাসায় উঠেছেন তারাই জঙ্গি আস্তানা গেড়েছে। তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
-ডিকে