জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। রোববার সকালে ধানমণ্ডি ৩২ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ভবন এবং দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে।
এ উপলক্ষে আজ সব সরকারি-আধাসরকারি, বেসরকারিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন আজ। তার ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের রয়েছে নানা আয়োজন।
ইতিহাসের পাতায় পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায়, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পরপরই ঢাকায় ফিরে নতুন রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৪৮ থেকে ১৯৫২-এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮-এর আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ প্রধান হিসেবে ১৯৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬ দফা, স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারারুদ্ধ হন তিনি।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ষাটের দশকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন বাঙালির অদ্বিতীয় নেতা। ১৯৬৯-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়। ১৯৭০-এর নির্বাচনে বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার পক্ষে জানায় অকুণ্ঠ সমর্থন।
১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে শেখ মুজিব বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধুর নাম চিরভাস্বর।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে তার ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ইউনেসকো বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন।