অনলাইনঃ
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা অর্জন করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ উপলদ্ধি করতে পারে নাই। কারণ যার নেতৃত্বে এই দেশ, তিনি তখন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দী। তিনি যতক্ষণ ফিরে না এসেছেন, ততক্ষণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে নাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা পায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দ জাতি উপভোগ করে। এই দিবসটি বাঙালি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই দিবসটি জাতীয়ভাবে রাষ্ট্রীয় মর্জাদায় পালন করা উচিত। তিনি আরো বলেন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস-ঐতিহ্য পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করা অপরিহার্য।
বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে আজ সকালে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সকাল ৮টায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ২০১৯ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল এর নেতৃত্বে ঢাকার কলাবাগান থেকে ৩২ ধানমন্ডিস্থ বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালী শেষে সকাল ৮.৩০ টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।
এরপর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি কবি আব্দুল খালেক, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম তালুকদার, নির্বাহী সদস্য মোঃ দুলাল মিয়া, মোঃ মাসুদ আলম, সদস্য লায়ন খান আখতারুজ্জামান, মোঃ আব্দুল হালিম মাস্টার, পলাশ চৌধুরী, মাওলানা শামসুল হক হাবিবী, মোঃ আব্দুল মান্নান ইমরান, মোঃ রাজিবুল ইসলাম রাজিব, আওয়ামী লীগ নেতা আ হ ম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।