ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আবারও লকডাউন

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আবারও লকডাউন
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আবারও লকডাউন

আন্তর্জাতিকঃ
যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের আরও বেশি ছোঁয়াচে ধরন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় ফের লকডাউনে যাচ্ছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ মার্চ) মধ্যরাত থেকে লকডাউন কার্যকর হবে,চলবে টানা এক মাস। বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ফ্রান্সের রাজধানীর পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ বেশি এমন ১৫টি প্রশাসনিক অঞ্চলেও লকডাউন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স জানিয়েছেন, দেশ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউন জরুরি। তবে গত বছরের মতো এবারের লকডাউন অতোটা কঠোর হবে না।

ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ের ভেরান বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে প্যারিসে করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেজনক। শহরটির বিভিন্ন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) করোনায় আক্রান্ত প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ভর্তি রয়েছেন। গত বছরের নভেম্বরে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার সর্বোচ্চ সংক্রমণের সময়ও এত বেশি মানুষ আইসিইউতে ভর্তি ছিল না।

নতুন বিধিনিষেধের বিষয়ে ফ্রান্স সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সামনের একমাস কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। তবে স্কুল যথারীতি খোলা থাকবে। বাড়ি থেকে ছয় মাইলের মধ্যে বাসিন্দারা শরীর চর্চা করতে পারবেন। যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া শহর ছেড়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ভ্রমণ করা যাবে না।

করোনা ব্যাপকভাবে আঘাত হানার কারণে যারা বাড়িঘর ছেড়েছেন, তাদের একটি ফরম পূরণ করতে হবে। ঘর ছাড়ার কারণ তাতে বিস্তারিত উল্লেখ থাকতে হবে।

গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফ্রান্সজুড়ে জারি করা রাত্রিকালীন কারফিউও বহাল থাকবে। তবে তা এক ঘণ্টা পিছিয়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হবে।

পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে ৩৪ হাজার ৯৯৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওই দিন এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জনের।

করোনার ধীর টিকাদান কর্মসূচির কারণে এমনিতেই সমালোচনার মুখে ফ্রান্স সরকার। তার ওপর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্ত জমাট বাঁধার খবর প্রকাশের পর টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত রেখেছিল ফ্রান্স।

তবে বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি (ইএমএ) জানিয়েছে রক্ত জমাটের সঙ্গে এই টিকার কোনো সম্পর্ক নেই। ইএমএর বক্তব্যের পরপরই ওই টিকার কার্যক্রম শুক্রবার থেকে আবার শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। শুক্রবার দুপুরে ওই টিকা নেবেন দেশটির ৫৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী ক্যাসটেক্স।

-কেএম

FacebookTwitter