অনলাইনঃ
ঈদে ঘরমুখী মানুষের দুর্বিষহ বিড়ম্বনা এড়াতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে দিনেও ফেরি চলাচলের অনুমতি দেয়ার কিছুক্ষণ পরই আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
ফেরি চলাচলে অনুমতি দিল সরকার
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাটের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জিল্লুর রহমান সোমবার গণমাধ্যমকে সোমবার (১০ মে) রাতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে নির্দেশ এসেছিল যাত্রী নিয়ে সবগুলো ফেরি চলবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবার জানানো হয়, আগের মতোই জরুরি প্রয়োজনে সন্ধ্যার পর থেকে ফেরি চলবে। তবে বাড়ানো হয়েছে দুইটি ফেরি। জরুরি প্রয়োজনে আরও ফেরি বাড়ানো হতে পারে।’
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম জানান, ‘লাশের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের সময় যেভাবে মানুষ হুড়মুড়িয়ে উঠে যাচ্ছেন, তাতে জরুরি প্রয়োজনের যান আটকা পড়ে যাচ্ছে।
এ জন্যই যে ঘাটে প্রয়োজন মনে হবে, সেখানে দু-একটা ফেরি বাড়তি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রধান যাতায়াত হয় পদ্মার দুই ফেরিঘাট হয়ে। এগুলো হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়,বর্তমানে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৬টি ফেরি সচল। এর মধ্যে লাশবাহী গাড়ি,অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি প্রয়োজনের গাড়ির জন্য তিনটি ফেরি দিনে চলাচল করে। আর রাতে প্রয়োজন অনুযায়ী মালবাহী ফেরি চলে।
আর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি আছে ১৭টি। ওই পথেও দিনে দু-তিনটি ফেরি জরুরি প্রয়োজনে চলাচল করত। সেখানেও জরুরি প্রয়োজনে ফেরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার ও শনিবার দৌলতদিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকায় রবিবার ও সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ তুলনামূলক কম ছিল।
তবে ঘরমুখো মানুষকে ঠেকাতে জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। এমনকি বিজিবিও টহল দেয়।
-কেএম