অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর জেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফুলবাড়ীতে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণাসহ চলছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাঁপ।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর দিনাজপুর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণকারি সদস্য প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
চলছে হোটেল রেস্তোরায় প্রার্থীদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, প্রার্থীদের তৎপরতা ততই বাড়ছে।
ভোটারদের বাসাবাড়ীতে গণসংযোগের পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ, পৌর সভা ও ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ভোটারদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন প্রার্থীরা।
অন্যান্য ভোটের চেয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনটি একটু ভিন্নধর্মী হওয়ায় ভোটার এখানে শুধুই নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিল এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যারা এই নির্বাচনের ভোটার হিসেবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে ফুলবাড়ীতে মোট ভোটার সংখ্যা ১০৭ জন।
ফুলবাড়ী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভার নিয়ে দিনাজপুর জেলা পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড গঠিত। এই ওয়ার্ডের একটি পদের জন্য তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ফুলবাড়ী চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবু (তালা প্রতীক), ফুলবাড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান (অটোরিক্সা প্রতীক) এবং বিএনপি কর্মী জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ও সাংবাদিক আবু শহীদ (বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক) নিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কামরুজ্জামান শাহ কামরু ও সহ-সভাপতি আবুল কাশেম সদস্য পদের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও দলীয় সিদ্ধান্তে দুই নেতাই তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
একইভাবে নারী সদস্যা পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন, পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মোছা. লতিফা বেগম (হরিণ প্রতীক) এবং ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেত্রী হাছিনা পারভিন (ফুটবল প্রতীক)।
ভোটার নির্ধারিত হলেও আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে ভোটের চুলচেরা বিশ্লেষণ। দলীয় সিদ্ধান্তে শফিকুল ইসলাম বাবু সদস্য পদের জন্য নির্বাচনে অংশ নিলেও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোটে অংশ নিয়েছেন একই দলের মশিউর রহমান।
তবে বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলীয় সদস্য প্রার্থী হওয়ায় দলীয় সমর্থন পাওয়া সহজ হয়ে গেছে আবু শহীদের জন্য।
সদস্যপ্রার্থী আবু শহীদ বলেন, জনপ্রতিনিধিরাই দেশ ও এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করে থাকেন। জনপ্রতিনিধিত্বেও জন্য শিক্ষিত মানুষদের এগিয়ে আসা উচিত।
সেই চিন্তা থেকে সদস্যপদে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচিত হলে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী তিনি।
আওয়ামী লীগ মনোনিত সদস্যপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী।
এলাকার উন্নয়ন করছেন জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ইউপি চেয়ারম্যানরা।
সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে তিনি প্রার্থী হিসেবে শতভাগ জয়ী হওয়ার আশাবাদী। কারণ ভোটাররা তাকে সমর্থন করছেন। তিনি নির্বাচিত হলে সমান দৃষ্টিভঙ্গিতে এলাকার উন্নয়নের কাজ করে যাবেন।
-শিশির