প্রাথমিকের প্রশ্নপত্রে মারাত্নক নানান ভূল, ফেসবুকে ঝড়

প্রাথমিকের প্রশ্নে ‘জাতীয় পিতার’ নাম কী?

শিক্ষাঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভুল প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি অভিভাবক এবং সচেতন মহলসহ ফেসবুকে সমালাচনার ঝড় উঠলে তা বাতিল করে প্রশাসন।

বুধবারের গৃহীত দ্বিতীয় শ্রেণির পরিবেশ পরিচিতি প্রশ্নপত্রে দেখা যায় অসংখ্য বানান ভুল।

এ পরীক্ষায় সাতটি প্রশ্ন থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়। ওই প্রশ্নপত্রের ৭নং প্রশ্নে বলা হয়েছে ‘বাংলাদেশের জাতীয় পিতার নাম কী?’ এ প্রশ্নটি হওয়ার কথা ছিল ‘বাংলাদেশের জাতির পিতার নাম কী?’

ওই প্রশ্নপত্রের ৩নং প্রশ্নে বলা হয় কাবারের আগে ও পরে কি করতে হয়? প্রশ্নটি হওয়ার কথা খাবারের আগে ও পরে কী করতে হয়। ৪নং প্রশ্নে বলা হয় খাবারের নানা ধরণের ফুল দেখতে পাই। আমাদের পরিচিত পাঁচটি ফুলের নাম বল। প্রশ্নটি হওয়ার কথা বাগানে নানা ধরণের ফুল দেখতে পাই। আমাদের পরিচিত পাঁচটি ফুলের নাম লিখ। ৫নং প্রশ্নে বলা হয়েছে আমাদের জাতীয মাছের নাম কি? জাতীয এর জায়গায় হবে জাতীয় মাছের নাম কী।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রেও ভুল ছিল। ওই প্রশ্নের বিষয়ের নাম ভুলে লেখা হয়েছে- ‘শারীকি শিক্ষা’।

খ-বিভাগের ১নং প্রশ্নে বলা হয়েছে আমামে কিভাবে দাঁড়াতে হয় দেখাও? হওয়ার কথা আরামে কিভাবে দাঁড়াতে হয় দেখাও? এছাড়া ২নং প্রশ্নে বলা হয়েছে সোজা হতে বললে কিভাবে সোজা হত করে দেখাও ? প্রশ্নটি হওয়ার কথা সোজা হতে বললে কিভাবে সোজা হবে করে দেখাও ?

বৃহস্পতিবারের শারীরিক শিক্ষা সব শ্রেণির প্রশ্নপত্রে ভুল রয়েছে মর্মে পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়। পরে এ দুইটি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে বলে শিক্ষা অফিস জানায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রধান শিক্ষক বলেন, উপজেলার সকল বিদ্যালয়ের পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে নেয়া হয়। এই মর্মে আমরা শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র করে শিক্ষা অফিসে জমা দেই। উপজেলায় একটি প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটি রয়েছে, তারা যাচাই-বাছাই করে গৃহীত প্রশ্নপত্র প্রেসে পাঠান। প্রেস মুলকপি প্রুফের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠান। শিক্ষা অফিসে প্রুফের পর তা ছাপানো হয়। এতো কিছুর পরেও ভুল হওয়ার কারণ জানা নেই তার।

উপজেলা সহকারী শিক্ষাকর্মকর্তা মকুল চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রশ্নপত্র ভুল থাকায় দুটি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তা জ্যোতির্ময় সরকারের ফোনে ফোন দিলে রিসিভ করা হয়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটির দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

-ডিকে

FacebookTwitter