অনলাইনঃ
অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণাই দিলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ৫ নির্বাচন কমিশনার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
ছাত্র-জনতার গণ অভ্যূত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটলে দেশে ক্ষমতা নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগ আমলের নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি ওঠে।
পদত্যাগের দাবির মুখে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ কমিশনের সদস্যরাও পদত্যাগের মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন।
তবে এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে ইসি সদস্যরা যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হননি।
আগের দিন বুধবারও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন সিইসি আউয়াল। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনেরও ডাক দেন তখন।
হাবিবুল আউয়াল ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বর্তমান ও অতীত থেকে আহৃত অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও উপলব্ধি থেকে ভবিষ্যতের জন্য কিছু প্রস্তাবনা সরকারের সদয় বিবেচনার জন্য রেখে যাওয়া কর্তব্য মনে করছি। বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর সমরূপতার কারণে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (দলীয়–ভিত্তিক) নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ ক্ষেত্র হতে পারে। সেই সঙ্গে নির্বাচন চার বা আটটি পর্বে, প্রতিটি পর্বের মাঝে তিন থেকে পাঁচ দিনের বিরতি রেখে, অনুষ্ঠান করা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে সহজ ও সহায়ক হতে পারে। আমাদের প্রবর্তিত অনলাইনে নমিনেশন দাখিল অব্যাহত রেখে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার অপটিমাইজ করতে পারলে উত্তম হবে। প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হলে উদ্দেশ্য অর্জন আরও সুনিশ্চিত হতে পারে।’
সিইসি হিসেবে ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার সঙ্গে ইসির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা ও সাবেক সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান।
নিয়োগের পর তারা তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে শপথ গ্রহণ করেন।
ওই কমিশনের অধীনেই চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়।
-আরপি