ডেস্ক রিপোর্টঃ
৯ই অক্টোবর, জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে সারা দেশের তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। তারই অংশ হিসেবে ২৪ অক্টোবর ২০২০,শনিবার, সকাল ১১ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব হইতে একটি বর্ণাঢ্য ধূমপানবিরোধী ছাতা র্যালি বের করা হয়।
“প্রত্যাশা” মাদক বিরোধী সংগঠন, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি)ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাষ্টের সম্মিলিত প্রয়াসে ব্যাতিক্রমধর্মী এই র্যালিটি অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন তামাক বিরোধী স্লোগান সম্বলিত “ধূমপানবিরোধী এই ছাতা গুলো নিয়ে র্যালি করার মূল উদ্দেশ্য ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার ।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চিন্তা থেকেই ছাতা র্যালি করা হয়। বাংলাদেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ এবং করোন-কালে-ও তামাক কোম্পানীগুলো তাদের কূটকৌশলের অংশ হিসাবে সারাদেশে ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে বিড়ি-সিগারেটের অবৈধ বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবীতে এই র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। “প্রত্যাশা” মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারন সম্পাদক হেলাল আহমেদ এর সঞ্চালনায় র্যালি পূর্ব তামাকবিরোধী সমাবেশে টিসিআরসি’র অধ্যাপক বজলুর রহমান,শহর সমাজসেবা সমন্বয় পরিষদ-১ এর সভাপতি জাকির হোসেন,ডাব্লিউ বি বি-এর সৈয়দা অনন্যা রহমান,কল্যাণ মহিলা সংগঠনের মেহেরুননেসা,সোনিয়া নেহা,নারী মৈত্রীর ভলান্টিয়ার গ্রুপসহ বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ফেসবুকভিত্তিক কিছু স্বেচ্ছাসেবী তরুণ তরুণী র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতি বছর ৯ই অক্টোবর দেশব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ”জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সকল নীতিতে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করুন”। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আইন ও নীতিতে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ সময়ের দাবী। বর্তমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এফসিটিসির আলোকে উক্ত বিষয়ে একটি সুুনিদিষ্ট গাইডলাইন এবং তামাক কোম্পানির সাথে সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আচরণ কেমন হওয়া উচিৎ সে বিষয়ে আচরণবিধি প্রণয়ন জরুরী ।
উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০১১ সাল থেকে জোট তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনটিকে বেসরকারীভাবে ‘জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে জোট।
করোনা প্রাদুর্ভাব বিবেচনায় এবছরও দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য জোট’র পক্ষ্য থেকে অনলাইনভিত্তিক কর্মসূচি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাম্পেইন পরিচালনা, স্মারকলিপি প্রদানসহ অন্যান্য কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
-শিশির