প্রকাশ্যে এসএসআই’র গালে ওসি’র থাপ্পড়

প্রকাশ্যে এসএসআই’র গালে ওসি’র থাপ্পড়
প্রকাশ্যে এসএসআই’র গালে ওসি’র থাপ্পড়

সারাদেশঃ
মানববন্ধনে লাঠিপেটা ও এএসআই’র গালে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) থাপ্পর মারার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে জেলা পুলিশের তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার বামনায়।

তদন্ত কমিটির দাবি, পুরো ঘটনারই তদন্ত করছে তারা। আজ রোববার সকালে তারা বামনা উপজেলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর পর গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে গতকাল শনিবার বরগুনার বামনা উপজেলায় মানববন্ধন করেন সিফাতের বন্ধুরা।

পুলিশ গিয়ে ওই মানববন্ধনের ব্যানার-ফ্যাস্টুন কেড়ে নেয় এবং লাঠিপেটা করে মানববন্ধন পণ্ড করে দেয়। এ সময় কর্তব্যরত এক এএসআইকে থাপ্পর মারেন বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস আলী তালুকদার। থাপ্পর মারার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

এ ঘটনার পর ওই এএসআই বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে খুব হতাশায় ভুগছি। পারিবারিক এবং সামাজিক দিক দিয়ে চরম লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছি। তাই এ বিষয়ে আমি কথা বলতে চাচ্ছি না।’

বরগুনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে জেলার আমতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ রবিউল ইসলাম ও পুলিশ অফিসের পরিদর্শক (ক্রাইম) মো. সোহেল আহমেদকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, সিফাতের মুক্তির দাবির মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে পুরো ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি কাজ করছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

এদিকে সাহেদুল ইসলাম সিফাতের মুক্তির দাবিতে তাঁর শৈশব ও কৈশোরের বন্ধুদের আয়োজিত এ মানববন্ধনকে জামায়াতি চক্রের কাজ বলে উল্লেখ করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রভাবশালী মহল বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছেন তদন্ত কমিটির কাছে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের সময় তদন্ত কমিটির কাছে ভিডিও সাক্ষাৎকারে বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন জোমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধা এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস তালুকদারসহ একটি প্রভাবশালী মহল বলেন, বঙ্গমাতার জন্মদিনে সিফাতের মুক্তির দাবির মানববন্ধন একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা সরকারকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলতে সড়ক অবরোধ করে এ মানববন্ধন করছিল।

তারা আরো বলেন, প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে মানববন্ধন করায় পুলিশ বাধা দিয়েছে। এ সময় তারা ওসি ইলিয়াস আলী তালুকদারকে একজন সৎ পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করে বলেন, পুলিশের কঠোর ভূমিকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।

-জে

FacebookTwitter