অনলাইন ডেস্কঃ
নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলনে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে শাহবাগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পোশাক (ইউনিফর্ম) ছাড়া কাউকে সেখানে অবস্থান করতে দিচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকাল থেকে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো রাস্তায় নেমেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর শাহবাগেও দুই থেকে তিন হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান নেয়।
সেখানে শিক্ষার্থীরা সড়কের শৃংখলার দায়িত্ব নিজেরা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষার্থীরা। তারা লেন মেনে গাড়ি, রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে সহয়োগিতা করছে। পাশাপাশি চালক ও যানবাহনের লাইসেন্সও পরীক্ষা করছে।
সেখানে একপর্যায়ে দুইজন বিদেশি বহনকারী একটি প্রাইভেটকারের লাইসেন্স পরীক্ষা করতে চাইলে গাড়িটি দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পিজি হাসপাতালের সামনে গাড়িটি আটকায় শিক্ষার্থীরা।
পরে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ওই সময় একজন বহিরাগত সেই গাড়ি ভাঙার উস্কানি দেয় বলে জানা গেছে।
শাহবাগে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষার্থীকেও দেখা যায়।
সেখান থেকে একজন বহিরাগতকে আটক করে ছাত্রলীগের বিগত কমিটির কয়েকজন নেতাকর্মীর সহায়তায় পুলিশের হাতেও তুলে দেয়া হয়।
আটক নাহিদ নারায়ণগঞ্জ থেকে এখানে বন্ধুর কাছে এসেছে বলে জানায়। তবে নাহিদই গাড়ি ভাঙার উস্কানি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন।
তারা শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে তারা একমত পোষণ করেন। দাবি সমূহ সরকার পূরণ করবে বলে তারা শিক্ষার্থীদের চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ হলে যাবে বলে জানায়।
পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে মিছিল করতে চান। শিক্ষার্থীরা তাতেও অসম্মতি জানালে তাদের মিষ্টিমুখ করিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সেখান থেকে চলে যান।
শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট বৃত্ত তৈরি করে সেখানে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যানবাহন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নিরাপদ সড়কের দাবিতে নানা ধরণের স্লোগান দিচ্ছে।
-আরবি