করোনা সংবাদঃ
প্রাণঘাতী করোনাভারাসের (কোভিড-১৯) মহামারীতে বিপর্যস্ত বিশ্ব। এর মধ্যে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় আঘাত। মৃত্যুর পাশাপাশি প্রতিদিনই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন হাজার হাজার নারী-পুরুষ।
তবে নারীদের তুলনায় পুরুষদের শরীরেই বেশি পরিমাণে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি ইউরোপীয় জার্নাল ‘ইমিউনোলজি’তে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। পর্তুগালের ‘মেডিসিনা মলেকিউলার জোয়াও লোবো আন্তুনেস’ এই গবেষণা করে। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
এ বিষয়ে পর্তুগিজ গবেষকরা জানান, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর প্রায় সাত মাস পর্যন্ত ৯০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হওয়ার বিষয়টি বয়সের উপর নির্ভর করছে না। বরং কার শরীরে কতখানি প্রভাব ফেলেছে করোনা ও অন্যান্য কী রোগ রয়েছে, তার উপরই তা বেশি নির্ভরশীল।
এই গবেষণার লেখক মার্ক জানান, মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতাই করোনাকে চিহ্নিত করে। আর পাল্টা অ্যান্টিবডি তৈরি করে। যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
গবেষণার জন্য ৩০০ বেশি করোনা হাসপাতালের এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরের অ্যান্টিবডির লেভেল টেস্ট করা হয়। এছাড়াও ২০০ বেশি করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরও টেস্ট করা হয়। এজন্য আলাদা একটি গবেষকদের দল তৈরি করা হয়েছিল।
ছ’মাস গবেষণার পর দেখা গেছে, প্রথম তিন সপ্তাহ পর শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাদের শরীরে যতো প্রবলভাবে করোনা সংক্রমণ ঘটায়, তাদের শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ তত বেশি। এর সঙ্গে বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই। এর মধ্যে ৯০ শতাংশের শরীরেই সাত মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব দেখা যায়।
এরপর গবেষণার দ্বিতীয় ধাপে দেখা হয়, করোনার বিরুদ্ধে সেই অ্যান্টিবডির লড়াই করার ক্ষমতা কতখানি। এ বিষয়ে মার্ক জানান, তাদের জার্নালে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আছে। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে বেশি সময় পর্যন্ত লড়তে সক্ষম পুরুষরাই।
-কেএম