অর্থনীতিঃ
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-বিডিএফের এবারের সম্মেলনে সোয়া ৪ বিলিয়ন বা ৪২৫ কোটি ডলার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছে।
এর মধ্যে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ১২০ কোটি ডলার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আগামী ৪ বছরে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা।
এ অর্থ ঋণ নয় অনুদান হিসেবে দিবে তারা। এছাড়া বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে অনন্তর্ভুক্ত করে ২টি চলামন প্রকল্পে অতিরিক্ত ও একটি নতুন প্রকল্পে ৩৫০ মিলিয়ন ডালার অর্থ অনুদানের প্রতিশ্রুত দিয়েছে। এসব অর্থ বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিত ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীতের জীবনমান উন্নয়নে ব্যবহ্রত হবে।
এ ছাড়া এ ফোরামে জাইকা ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ২৭০ কোটি ডলার লোন দিবে। এ লোন দিয়ে ৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) শেরেবাংলানগরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এফসিএ, এমপি এসব কথা বলেন।
পাশাপাশি বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ্যে ‘সরকারি মালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানিসমূহের শেয়ার পুঁজিবাজারে অফলোড করার বিষয়ে আলোচনা শেষে মাননীয় অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে বলেন, পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে শিগগরই পুঁজি বাজারে আসছে সাতটি লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান। এর পাশাপাশি আরো সরকারি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসা উচিত। বাজার চাঙ্গা করতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি , ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি) আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লিমিটেড, বি-আর পাওয়ারজেন লিঃ (বিআরপিএল) একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। কোম্পানিগুলো টেকসই করতে হবে। প্রথমে প্রত্যেকটা কোম্পানির ব্যালেন্সশিটগুলো আমাদের অ্যাসেস করতে হবে। এখন থেকে ১০ বছর আগের অ্যাসেটের দাম, আর এখনকার দাম এক নয়। এখন কারেন্ট প্রাইসে এগুলো আমাদের রিভ্যালু করতে হবে। আমাদের সম্পদের পরিমাণ রিভ্যালু করতে হবে। রিভ্যালু করতে যে সময় লাগবে সেই সময় কোম্পানিগুলোকে দিতে হবে। সম্পদের পরিমাণ রিভ্যালু করতে দুই মাসের মত সময় লাগতে পারে।
মাননীয় অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আশা করছি আমরা দুই মাস সময়ের মধ্যে সাতটি কোম্পানির সম্পদের পরিমাণ অ্যাসেস করতে পারবো। যেটা নেট অ্যাসেস দাঁড়াবে সেটার ভিত্তিতেই শেয়ারগুলো ভ্যালুয়েশন হবে। এরপরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ধীরে ধীরে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এগুলোকে বাজারে নিয়ে আসা হবে। দুই মাসের মধ্যেই এগুলো অ্যাসেসমেন্ট করেই আমাদের তথ্য দেবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাইরের প্রতিষ্ঠান দিয়েই সম্পদের অ্যাসেস করবে। বাইরের বিভিন্ন অডিট ফার্ম দিয়েই তারা সম্পদের অ্যাসেস করবে। সুতরাং তাদেরও সময় লাগবে। সবার সমর্থন নিয়েই তারা তাদের কাজটি করবে। সাতটি কোম্পানি প্রাইভেট সেক্টর থেকে কাজ করতে পারে আবার আইসিবি (ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) থেকেও করতে পারে। আমরা তাড়াতাড়ি সাতটি সরকারি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে নিয়ে আনতে চাই। এই জন্য একটি নয় আমরা সাতটি ফার্মকে দিয়ে সম্পদের মূল্যায়ন করবো। যাতে কাজটি তাড়াতাড়ি করা যায়।
-ডিকে