স্বাস্থ্যঃ
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তিনশ’ ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) দেওয়া হয়েছে।
সেই পিপিই পাবেন হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টাররা। কিন্তু তারা ওয়ার্ডে কাজ করেন না। অথচ অনেক চিকিৎসক, নার্স, রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায়িত্বে থাকা টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য চিকিৎসাকর্মী পিপিই পাননি। হাসপাতালের বাইরে এই চিত্র আরও ভয়াবহ।
কয়েকটি জেলায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পিপিই পরে ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পিপিই পরে ফটোসেশন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য্য সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারাও পিপিই পরে ফটোসেশন করছেন। আবার একটি সিন্ডিকেট পিপিই, কিটসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্যে নেমেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য চিকিৎসা কর্মী যেখানে ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) সংকটে আছেন, সেখানে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পিপিই পরে এমন ফটোসেশনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর বাইরে সরাসরি করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত নয়, হাসপাতালের এমন ব্যক্তিরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিপিই পরে ফটোসেশন করছেন। অথচ পিপিই কাদের জন্য প্রয়োজন, সে সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুস্পষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি নির্দেশনা দিয়েছে। এসব ব্যক্তির পিপিই ব্যবহার সেই গাইডলাইনের মধ্যে পড়ে না।
-কেএম