অনলাইনঃ
শেরপুর সদরে পিকনিকের একটি বাসের চাপায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ওই বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে সদর উপজেলার শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে কুসুমহাটি এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এসময় নিহতরা হলেন-শেরপুর সদর উপজেলার ছয়ঘড়িপাড়া গ্রামের সবর আলীর ছেলে হালিম উদ্দিন (৪৫) ও একই গ্রামের এমাজ উদ্দিনের ছেলে কাশেম মিয়া (৪০)। হালিম উদ্দিন ভ্যানগাড়িটির চালক আর কাশেম তার যাত্রী ছিলেন।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের পাতাইলকান্দি এলাকার চাইল্ড কেয়ার প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ ৬৮ জনের একটি দল শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে পিকনিকে যায়।
সেখান থেকে শেষে ফেরার পথে শেরপুর সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকায় ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানকে পেছন থেকে চাপা দেয় ওই বাস।
এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক হালিম ও যাত্রী কাশেম নিহত হন। এ সময় আহত হয় ওই বাসটি থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আশা (১৫)।
এসময় উত্তেজিত জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ কারণে কিছু সময় ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন এ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক বাস রেখে পালিয়ে গেলে বিক্ষুদ্ধ জনতা ওই বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়।
ওই ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে উল্লেখ করে নিহতদের লাশ তাদের স্বজনরা নিয়ে গেছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া বাসের সকল যাত্রীদের নিরাপদে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চাইল্ড কেয়ার প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক এরশাদ আলী বলেন, ‘এ ঘটনায় আমাদের স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশা আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সে এখন সুস্থ রয়েছে।’
-কেএম