পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের অনুমোদন

পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের অনুমোদন
পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের অনুমোদন

জাতীয়ঃ
প্রতি ইঞ্চি জমিতে আবাদ করতে সরকার ৪৩৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। যেসব পরিবারের এক থেকে দেড় শতাংশ পরিমাণ পতিত জমি আছে, তারা এই সুবিধা পাবে।

আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘অনাবাদী পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন’ প্রকল্পটি ৪৩৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা খরচে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

জানা গেছে, প্রকল্পটির আওতায় গ্রামের মানুষ বসতবাড়ির আঙিনা, পুকুর ও খালের পাড়, বাড়ির আশপাশ, স্যাঁতসেঁতে ছায়াযুক্ত প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমিতে শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করবেন। এতে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে বর্তমানে পতিত ও অনাবাদি কিন্তু আবাদ হতে পারে এমন জমির পরিমাণ ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬৮ হেক্টর। এই হিসাবে অবশ্য হাওর ও পাহাড়ের কিছু অংশ নেই।

প্রকল্পে যা আছে

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এই প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে নেওয়া ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৯০৬টি প্রদর্শনী খামারে ১২ ধরনের শাকসবজি উৎপাদন করা যাবে। একই সঙ্গে ফলের চাষও করা যাবে। শাকসবজির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ফুলকপি, মুলা, বেগুন, বাঁধাকপি, মরিচ, লাউ, কুমড়া; আর ফলের মধ্যে থাকবে মাল্টা, পেঁপে, থাই পেয়ারা ইত্যাদি।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রস্তাবিত খামারের মডেল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে একজন কৃষক সারা বছরই খামার থেকে কিছু না কিছু পাবেনই। কখনো সবজি থাকবে, আবার কখনো থাকবে ফল। এ জন্য প্রায় আড়াই লাখ কৃষক এবং ১০ হাজার কৃষি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:

উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং এর অটোমেশন কার্যক্রম শুরু

প্রকল্পের টাকা যারা পাবেন

যেসব পরিবার সরকারের এই সুবিধা পাবে, তার একটা মানদণ্ড ঠিক করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তাতে বলা হয়েছে, যেসব পরিবারের এক থেকে দেড় শতাংশ পরিমাণ পতিত জমি আছে, তারা এই সুবিধা পাবে। প্রতি ইউনিয়নে ৩২টি প্রদর্শনী খামার হবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে ১ হাজার ৯৩৫ টাকা দেওয়া হবে। এর বাইরে বীজ ও সারের ব্যবস্থাসহ সাইনবোর্ড টাঙানোর কাজ করে দেবে সরকার।

-কেএম

FacebookTwitter