আন্তর্জাতিকঃ
বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ’র হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিস ডেভন হ্যাসপিলের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল ১৭ জুলাই, শুক্রবার ভোরে ২১ বছর বয়সী টাইরিসকে গ্রেপ্তারের পর তার বরুদ্ধে হত্যা মামলার চার্জ গঠন করা হয়।
ফাহিম সালেহ’র প্রতিষ্ঠিত অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটেলে কাজ করতেন টাইরিস। তিনি ছিলেন ফাহিমের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী।
পুলিশের ধারণা- ফহিমের হত্যার পেছনে ডেভনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এবং অর্থ আত্মসাৎ করার জন্যই সালেহকে খুন করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএন জানায়, টাইরিস ডেভনের বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার চার্জ (ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা) অভিযোগ গঠন করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)।
নিউইয়র্ক পোস্টর প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাহিম সালেহ’র চীফ অফ স্টাফ হিসেবে কাজ করতেন টাইরেস। অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটেল’র সবকিছু দেখভালের সুযোগ নিয়ে টাইরেস প্রতিষ্ঠানটি থেকে কয়েক লাখ ডলার সরিয়ে ফেলে, যেটি পরে বুঝতে পারেন ফাহিম। তবে ব্যাপারটি পুলিশকে না জানিয়ে তাকে সুযোগ দেন সেটি ফিরিয়ে দিতে। এর পরপরই ঘটে ওই হত্যার ঘটনা।
খবরে বলা হয়, ফাহিম সালেহ’র সঙ্গে তার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে প্রথমেই তাকে অচেতন করে মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাত করে টাইরেস। পরদিন আবার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে হত্যাকাণ্ডের সমস্ত আলামত মুছে ফেলতে ফাহিম সালেহ’র শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে তা ব্যাগে ভরে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেউ সেই ফ্ল্যাটে এসে পড়ায় পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না করেই পালিয়ে যান হত্যাকারী।
সার্ভিলেন্স ভিডিওতে দেখা গেছে, সালেহ’র সঙ্গে তারই সাবেক এই কর্মী নিজেকে আড়াল করে লিফটে ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকারীর গত কয়েকদিনের কেনাকাটার রেকর্ড যাচাই করে তারা দেখেছে সে একটি ইলেক্ট্রিক করাতও কিনেছিল কিছুদিন আগে।
-ডিকে