আন্তর্জাতিকঃ
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের গাওয়াদার শহরের পাঁচতারকা হোটেল পার্ল কন্টিনেন্টালে (পিসি) সন্ত্রাসীদের হামলায় এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন।
দেশটির সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম ডন।
আইএসপিআর জানায়, ‘তিন সন্ত্রাসী’ হোটেলটিতে ঢোকার চেষ্টাকালে এই নিরাপত্তারক্ষী বাধা দিলে তারা তাকে গুলি করে। এতে তিনি মারা যান।
পাকিস্তানি সেনবাহিনীর মিডিয়া উইং আরও জানায়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং সন্ত্রাসীদেরকে ওপরেরতলায় আটকে ফেলেছে।
এছাড়া হোটেলে অবস্থানরতদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে আইএসপিআর।
এর আগে গাওয়াদার স্টেশন হাউজ অফিসার (এসএইচও) আসলাম বানগুলজাই জানান, শনিবার বিকেল চারটা ৫০ মিনিটে আমরা খবর পাই যে তিন থেকে চার বন্দুকধারী পিসি হোটেলে ঢুকেছে।
তিনি জানান, অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী, এটিএফ (অ্যান্টি-টেরোরিজম ফোর্স) এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য হোটেলটিতে উপস্থিত হয়েছে। বন্দুকধারীরা এখনও গুলি ছুড়ছে। কিন্তু কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মির জিয়া ল্যানগোভ জানান, সন্ত্রাসীদের গুলিতে হোটেলটির ভেতরে থাকা কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছেন।
হামলার সময় হোটেলটির ভেতরে কতজন ছিলেন তা জানাতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
এই বিষয়ে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) মোহসিন হাসান বাট জানান, দুই থেকে তিনজন বন্দুকধারী প্রথমে গুলি ছোড়ে এবং পরে হোটেলটিতে প্রবেশ করে। হামলার সময় হোটেলটির ভেতরে কর্মীরা ছাড়া কোনও বিদেশি নাগরিক ছিল না। সেখান থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
হামলাকারীরা সম্ভবত একটি নৌকায় এসে হামলা শুরু করে বলেও উল্লেখ করেন এই প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান আলিয়ানি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে হোটেলটির ভেতরের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত এবং কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়ে বলেন, আমি পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছি।
এদিকে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) মুখপাত্র জুনাইদ বেলুচ এই হামলার দায় স্বীকার করেছেন।
-ডিকে