অনলাইনঃ
পহেলা বৈশাখের দিন বিকেল ৫টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
একই সঙ্গে উৎসবের দিন ঢাবি ক্যাম্পাসে কোন ধরণের মুখোশ পরা, ব্যাগ বহন করা এবং ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৪ এপ্রিল সকালে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোন ধরণের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সকল ধরনের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
একই সঙ্গে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নববর্ষের দিন ঢাবি ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোন গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোন ধরণের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোন ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেইট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।
নববর্ষের দিন জনসাধারনকে বিকল্প পথ দিয়ে ক্যাম্পাসে আসার ও বের হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পহেলা বৈশাখে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগত ব্যক্তিবর্গ সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন ছবির হাটের গেইট, বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বের হওয়ার পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেইট ও বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।
-ডিকে