আন্তর্জাতিকঃ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণের (এনপিআর) কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
সোমবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশের আগে পর্যন্ত এনপিআরের কাজ স্থগিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রের নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজ্যজুড়ে চলমান বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যেই এ নির্দেশ আসলো।
জনগণনা আইন অনুযায়ী, বাড়ি বাড়ি গিয়ে আদমশুমারির সঙ্গে এনপিআর তৈরির কাজ করে কেন্দ্র। জনগণনা হয় ১০ বছর অন্তর। একইভাবে হয় এনপিআর।
এনপিআরের মাধ্যমে কোন এলাকায় কতজন বাস করেন, শেষ ছয় মাসে কোনও এলাকায় নতুন কত বাসিন্দা এসেছেন তার হিসেব নেওয়া হয়।
ওই হিসেবের মধ্যে স্ত্রী, পুরুষ, শিশু ভাগের পাশাপাশি ধর্ম অনুসারেও ভাগ করা হয়। সেই কাজই বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
জনগণনা যেমন খতিয়ে দেখে লোকসংখ্যা, ঠিক সেভাবেই নাগরিকদের বিভিন্ন নথি দেখে ওই লোকসংখ্যার চরিত্র বিশ্লেষণ করে এনপিআর।
যেখানে জানতে চাওয়া হয়, ওই ব্যক্তি কোন ধর্মের, কতদিন ধরে আছেন। ওই ব্যক্তি কি বৈধ নাগরিক, নাকি আইনি বিধি মেনে কিছুদিনের জন্য আছে। এক কথায়, নাগরিকের চরিত্রের তথ্য তুলে ধরাই এনপিআরের উদ্দেশ্য।
২০২১ সালের জনগণনার প্রাথমিক পর্বের কাজ শুরু হয়েছে। এই সময়ে এনপিআরের কাজ স্থগিত করে দেওয়ায় কোনও সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে প্রশাসনে।
নবান্নের এক শীর্ষ কর্মবর্তা বলেন, ‘গোটা বিষয়টিতে কোনো স্বচ্ছতা নেই। বোঝা যাচ্ছে না, কেন্দ্র কী করতে চাইছে। রাজ্য সরকার স্পষ্ট সব জানতে চায়। তাই এনপিআরের কোনও কাজ এখন হবে না।’
প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অনেকেরই ধারণা, এনপিআরের হাত ধরে এনআরসি চালু করতে পারে কেন্দ্র।
যেহেতু রাজ্যের সিদ্ধান্ত এনআরসি মানা হবে না, তাই এনপিআরও স্থগিত করে দেওয়া হল।
নবান্নের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, জনগণনার কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলবে। শুধু এনপিআর হবে না।
এনপিআর সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও স্থগিত থাকছে।
-কেএম