অনলাইনঃ
তার পরিবার তাকে প্রায়ই হত্যার হুমকি দিত। তাই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছেন। এবং তার নিজ ধর্ম ত্যাগ করলেন এবং নামের পরিবর্তন করলেন।
ধর্মত্যাগী সৌদি কিশোরীর নাম রাহাফ আল-কানুন। তিনি তার পূরো নাম রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুন থেকে রুপান্তরিত করায় আল-কুনুন বাদ দেন। মঙ্গলবার টরেন্টোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।
এছাড়া এসময় তিনি নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী বলে আখ্যায়িত করেছেন।
রাহাফ বলেন, আমি অনেক ভাগ্যবতী কেননা আমি জানি সৌদি আরবে থেকে পালাতে গিয়ে অনেক মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছেন। এবং অনেক মেয়েই সৌদি আরবের বাস্তবতাকে বাধ্য হয়ে মেনে নিচ্ছেন।
এর আগে গত সোমবার কানাডার এক গণমাধ্যমকে রাহাফ জানান, কানাডায় সে এখন পড়াশুনার পাশাপাশি একটি চাকরি নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চান। এছাড়া কানাডায় আশ্রয় পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত বলে জানিয়েছেন রাহাফ।
উল্লেখ্য,গত সপ্তাহে সৌদি আরব থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ড চলে আসেন রাহাফ। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার পথে থাইল্যান্ড তাকে আঁটকে দেয়।
ব্যাংকক থেকে রাহাফকে সৌদি আরবে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিলো থাই কর্তৃপক্ষ। পরে বিমানবন্দরে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখলে বিশ্ব গণমাধ্যমে শিরোনাম হন এই কিশোরী।
এরপর কানাডা সরকারের হস্তক্ষেপে কানাডায় আসেন রাহাফ। রবিবার টরোন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর রাহাফের সঙ্গে ছিলেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।
সৌদি আরবের অভিভাকত্ব আইন অনুযায়ী বাবার অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরেও যেতে পারে না মেয়েরা। বাবার আদেশ না মানলে যেতে হয় জেলে। রাহাফের দাবি পরিবার তাকে প্রায়ই হত্যার হুমকি দিতো।
-ডিকে