জাতীয়ঃ
পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুদ মওকুফের বিষয়ে আবারো বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র থেকে বড়, সব পর্যায়ের ঋণ গ্রহীতাদের দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুদ মওকুফের বিষয়ে আবারও বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ঋণ নিয়েছেন তাদের জন্য ২ মাসের ঋণের সুদ স্থগিত করা হয়েছে। অর্থনীতির চাকা সচল ও রোজার কারণে ক্ষুদ্রশিল্পসহ কিছু কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে।’
তবে এক্ষেত্রে সুরক্ষার বিষয়টি খেয়াল রাখতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য রংপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহের জনপ্রতিনিধি এবং কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আজ ৪ মে, সোমবার তিনি এসব এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছি এবং আমরা এটা ১৫ মে পর্যন্ত বাড়াতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর এবং গাইবান্ধার প্রতিনিধিদের সাথে এ ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়েছে। সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে সরঞ্জামের অভাব নেই।’
এসময় চিকিৎসক, মাঠ প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনী ও মিডিয়া কর্মীদের নিজের সুরক্ষিত রাখারও আহবান জানান সরকার প্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গোটা বিশ্ব এক অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করছে। করোনাভাইরাসে দেশের অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। এর প্রভাব পড়বে আগামীতেও। বৈশ্বিক সংস্থাগুলো এটাকে অর্থনৈতিক মহামারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
করোনার মোকাবিলায় অস্ত্র-সম্পদে শক্তিশালী দেশগুলোর ব্যর্থতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলআমিনের কী খেলা! ধন-সম্পদ-অস্ত্র কিছুই কাজে লাগছে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ একটা আঘাত আসলো। এর মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এ অবস্থা মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। আমরা সাধারণ ছুটিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’
ভিডিও কনফারেন্সটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার এবং কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং রেডিও স্টেশন।
-ডিকে