নীলফামারীতে ধানের মন ৩৫০ টাকা!

তোজম্মেল হোসেন মঞ্জু,ডোমার নীলফামারী থেকেঃ

নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সর্বত্র চলছে বোরো ধান কাটার মৌসম ধানের ফলন ভাল হয়েছে, কিন্তু ধানের দামের কারনে কৃষকদের মাঝে হাহাকার পড়েছে।

বর্তমান ধানের মূল্য প্রতি মন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০/৪০০ টাকা। অনেক কৃষক ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ধানের খরিদ্দার নেই ধান বিক্রি করে কৃষানের মজুরিসহ পারিবারিক নানা কাজ কর্ম,এই ধান বিক্রি করে কৃষক সমস্যা সমাধান করেন কিন্তু বর্তমান বাজার মূল্যে তাহা সম্ভব হচ্ছে না।

কৃষকের নিকট থেকে জানা গেছে, এবার বোরো ফলন বিঘা প্রতি ১৬/২০ মন হয়েছে। তাতে খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ৭/৮ হাজার টাকা। সর্বসাকুল্লে ধান বিক্রি করে কৃষক পাচ্ছেন ৮ হাজার টাকা, নিজের খাটুনি ও অন্যান্য খরচ নিজের পকেট থেকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

গত বছর এই সময়ে কৃষক ধান বিক্রি করেছে মন প্রতি ৮০০/৯০০ টাকা অথচ এবার দাম অর্ধেক।

ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের নিজ ভোগডাবুরী গ্রামের কৃষক বকুল মিয়া জানান, সে বর্ঘা নিয়ে ৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছে, ধান হয়েছে প্রায় ৭০ মন, জমির মালিককে দিতে হয়েছে বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা করে ১৬ হাজার টাকা। জমি চাষ, সেচ, সার, নিড়ানি, ধান বীজ, কীটনাসক ঔষধ ও ধান কাটাসহ প্রতি বিঘায় ৭ হাজার টাকা খরচ হয়ে সর্ব মোট খরচ হয়েছে ৪৪ হাজার টাকা। ধান বিক্রি করে পেয়েছে ২৮ হাজার টাকা। লোকসান গুনতে হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। সে আর বোরো ধান চাষ করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই কথা বললেন কাওলা গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ডোমার উপজেলায় এবার ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরে ধানের চাষ লক্ষ মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।

ডোমার উপজেলায় গত ২ দিন হলেও সরকারী ভাবে ধান খরিদ শুরু হয়েছে। কৃষকের কাজ থেকে ধান খরিদ করবে ২০০/৩০০ কেজি যাহা কৃষকদের তালিকা করে লটারীর মাধ্যমে নেওয়া হবে।

-এসএম

FacebookTwitter