নির্বাচনী প্রচারণায় কি কি মেনে চলবেন

অনলাইনঃ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আজ (সোমবার) থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীর হচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রচারণা নামছেন তারা। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় কমিশনের বিধিমালা অবশ্যই মেনে চলতে হয়। না হলে কমিশন অভিযুক্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

এবার নির্বাচন কমশিন থেকে প্রচাররণায় কিছু বিধিমালা আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে।

নির্বাচনী পোস্টারের সাইজ দৈর্ঘ্যে ৬০ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যানার কোনভাবেই তিন মিটারের বেশি হবে না। পোস্টার রঙ্গিন করা যাবে না। পোস্টারে প্রার্থী ছাড়া দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করা যাবে। যা দড়িতে ঝুঁলিয়ে প্রচার করতে হবে। ৪’শ বর্গফুট এলাকার বেশি বড় কোন প্যান্ডেল করে প্রচার চালানো যাবে না। কাপড়ের তৈরি ব্যানার করে প্রচার চালানো গেলেও ডিজিটাল ডিসপ্লে ব্যবহার করা যাবে না। জনসাধারণের চলাচলের অসুবিধা হয়, এমন কোন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে হবে। প্রচারের অংশ হিসেবে যে কোনও প্রকার দেয়াল লিখন ও পোস্টার সাঁটানো দণ্ডনীয় অপরাধ।

মাইকে প্রচার চালানো যাবে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। পাশাপাশি একই নির্বাচনী এলাকাতে কোনও অবস্থাতেই তিনটির বেশি লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী এলাকায় প্রতি ইউনিয়ন আর পৌর এলাকার ওয়ার্ড প্রতি একটির বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প করা যাবে না।

মোটরসাইকেলসহ যেকোনো মোটরগাড়িতে করে মিছিল, মশাল মিছিল বা শোভাযাত্রা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনও প্রকার বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জা করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণীর ব্যবহার নিষিদ্ধ।

প্রচারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয় ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অন্য কোও প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনও ব্যক্তি সম্মানহানীকর কিছু করতে পারবে না। উস্কানীমূলক কোনও বক্তব্যও দেয়া যাবে না।

প্রচারণায় সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সব সুবিধা ত্যাগ করে প্রচার কাজে অংশ নিতে হবে। কোনও ডাক বাংলো, সরকারি গাড়ি ব্যবহারসহ প্রটোকল ছেড়ে এলাকায় যেতে হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ আইনে অনুমতি থাকায় নিরাপত্তার কারণে প্রটোকল পাবেন। দলীয় প্রধান ছাড়া অন্য কেউ হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবে না।

প্রচারের সময় আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন ঠেকাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ইসি ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি ভোটের মাঠে রয়েছে ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি (ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটি)। এসব কমিটির কাছে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নির্বাচনী অপরাধ ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে পারবেন।

ভোটগ্রহণ শুরু ৩২ ঘণ্টা আগে বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর মধ্যরাত ১২টা থেকে প্রচারণা বন্ধ থাকবে। সে হিসেবে এবার প্রার্থীরা ১৯ দিন প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে।

FacebookTwitter