আইন আদালতঃ

জাতীয় সংসদের একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ কাজ সুচারুরূপে সম্পাদন করার জন্য ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

শনিবার (০৩ জুলাই) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী । পরে বিলটি অধিকতর যাচাই বাছাইয়ের জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়। যাচাই-বাছাই করে বিলটি চূড়ান্ত করে আগামী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বলা হয়েছে।

সংসদে উত্থাপিত বিলে কমিশনের কার্যধারা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপনে বাধানিষেধ: এই আইনের অধীনকৃত সীমিানা নির্ধারণ বা কোন আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার গঠন বা কমিশন কর্তৃক বা কমিশনের কর্তৃত্বাধীনে গৃহিত কোন কার্যধারা বা কৃত কোন কার্যক্রমের বৈধতা সম্পর্কে কোন আদালতে বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।

বিলে নতুন করে আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে- প্রত্যেক আদমশুমারি সমাপ্তির পর আদমশুমারির পরবর্তী জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনের উদ্দেশ্য, কমিশনের নিকট অন্য কোনো কারণ উপযুক্ত বিবেচিত হলে তা লিপিবদ্ধ করে জাতীয় সংসদের প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বে কার্য সম্পাদক করবে।

দৈব দুর্বিপাক বা অন্য কোন যুক্তিসঙ্গত কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করা সম্ভব না হলে উক্তরূপ কার্য সম্পন্ন হবার পূর্বে কোন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হলে উক্ত সাধারণ নির্বাচন আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সর্বশেষ নির্ধারিত সীমার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে।

কমিশন প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনা করে প্রতিটি আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করবে, যাতে প্রতিটি আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার ভৌগোলিক অখন্ডতা বজায় থাকে এবং এইরূপ সীমানা নির্ধারণ সর্বশেষ আদমশুমারি প্রতিবেদনে উল্লেখিত জনসংখ্যার যতদূর সম্ভব বাস্তব বন্টনের ভিত্তিতে করতে হবে।

আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্মিলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে- সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন ২০১১ এবং শিবির পেটিশন ফর লিভ টু আপিল ন ১০৪৪-১০৪৫/২০০৯ এ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত রায়ের ফলে সামরিক ফরমান দ্বারা জারিকৃত আইনের কার্যকারিতা লোপ পায়।

জনস্বার্থে আবশ্যক বিবেচনায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হতে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারিকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরকরণ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১৩ সনের ৬ নং আইন দ্বারা অন্যান্য কতিপয় অধ্যাদেশের সাথে উক্ত অর্ডিন্যান্সকে কার্যকর রাখা হয়।

প্রস্তাবিত বিলে সংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত সংখ্যক একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ নির্বাচন কমিশন কার্যপদ্ধতি ক্ষমতা অর্পণ ও কমিশনকে সহায়তা প্রদান এবং কমিশন কর্তৃক বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, বিলটি আইনে পরিণত হলে জাতীয় সংসদের একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ কাজ সুচারুরূপে সম্পাদন করা হবে।

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily