অনলাইনঃ
গরু কোরবানির জন্য সিটি করপোরেশনের নির্ধারণ স্থান ঠিক করে দিলেও ফাঁকা ছিলো সেসব স্থান। রাস্তাতেই পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে এলাকাবাসীকে। সোমবার সকালে ঈদুল আজহার নামাজের পর রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
ফকিরাপুল পানির ট্যাংকের পাশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণের জন্য পশু কোরবানির স্থান নির্ধারণ করেন স্থানীয় কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ। সেখানে সামিয়ানা টাঙানো রয়েছে। কোরবানির এই নির্দিষ্ট স্থানে ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে এলাকার কাউকেই পশু নিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
দেখা গেছে, ফকিরাপুল এলাকায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট কোরবানির স্থান খালি পড়ে থাকলেও আশপাশে উন্মুক্ত স্থানে ও রাস্তাঘাটে পশু কোরবানি দেয় এলাকাবাসী। নির্দিষ্ট স্থানের একেবারেই কাছে পানির ট্যাংকের মুখে গরু জবাই করে রাখা হয়েছে। পশুর রক্ত ও বর্জ্য এসে পড়েছে রাস্তাঘাটে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করা না হলে পরিবেশ দূষিত হবে। ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন এলাকার বাসিন্দারা অলিগলিতে কোরবানি দিয়েছেন।
শুধু ফকিরাপুলে নয়, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। তবে রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি হয়েছে। কোরবানির পরপরই দ্রুত বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। নগরীর কিছু কিছু এলাকায় রাস্তায় কোরবানির ফলে বর্জ্যের দুর্গন্ধে চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
উন্মুক্ত স্থানে কিংবা রাস্তাঘাটে নয়, সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। কিন্তু নগরবাসীর অনেকেই এ অনুরোধে কর্ণপাত করেননি। এ ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন নগরবাসী। তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা গেছে।
জন্মলগ্ন থেকেই নগরবাসী শুধুমাত্র নিজ বাসার আশে পাশেই কোরবানী দিয়ে থাকেন। মাংস বহন সুবিধাসহ নানান সুবিধার কারনে তারা স্থান নির্ধারন করে দেওয়ার পরও তা পালনে ব্যার্থ হয়েছে।
-কেএম