ব্র্যান্ড সংবাদঃ
সম্প্রতি বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া কোয়ালকম আয়োজিত চায়না টেকনোলজি অ্যান্ড কো-অপারেশন সামিট-এ কোয়ালকম এবং চীনের অন্যতম শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপো একটি ফাইভ জি পাইলট প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছে।
অপো আশা করছে, ল্যাব পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্য অর্জনের পর অপো’ই প্রাথমিকভাবে একটি বাণিজ্যিক ফাইভ জি হ্যান্ডসেট বাজারে নিয়ে আসবে।
অপো একমাত্র স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএমটি-২০২০ এ অংশগ্রহণ করেছে এবং ফাইভ জি স্ট্যান্ডার্ড নির্মাণে অবদান রেখেছে।
অপো তাদের ফাইভ জি কমিউনিকেশন প্রোটোকল ল্যাবরেটরি এনভায়রনমেন্টে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক এবং একটি আর১৫ স্মার্টফোন টার্মিনালের মধ্যে সফলভাবে সংযোগ স্থাপনে সক্ষম হয়েছে।
অপো বলছে, অপো আর১৫ ভিত্তিক নির্মিত বাণিজ্যিকভাবে সুলভ হওয়ার আগে পাওয়া একটি ফাইভ জি স্মার্টফোনে এই সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে ফাইভ জির প্রয়োজনীয় সকল উপাদান যেমন- সিস্টেম বোর্ড, আরএফ, আরএফএফই এবং অ্যান্টেনা ব্যবহার করা হয়েছে। হ্যান্ডসেটের স্ক্রিনের উপরর ডান পাশের কোনায় 5G লোগো দেখা যাবে।
বিগত কয়েক বছর যাবৎ অপোর আর অ্যান্ড ডি বিভাগ ২০১৮ সালের স্মার্টফোনগুলোতে নতুন উদ্ভাবন ও নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি, ক্যামেরা, ভ্যারিয়েবল অ্যাপারচার, আর্টিফিসিয়্যাল ইন্টেলিজেন্স, ফেস আনলক এবং অসাধারণ VOOC নিয়ে আসার কাজে ব্যস্ত ছিল। অপো ২০১৫ সালে ফাইভ জি টেকনোলজি নিয়ে গবেষণা এবং এ নিয়ে কাজ করতে শুরু করেছে। এ বছরের শুরুর দিকে অপো কোয়ালকমের সাথে চুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে। এছাড়া এ বছরের মে মাসে ফার্স্ট লাইভ ফাইভ জি থ্রি ডি ভিডিও কল প্রদর্শন করে এবং ফাইভ জি ও আর্টিফিসিয়্যাল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করার জন্য একটি রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস প্রতিষ্ঠান থ্রিজিপিপি বলেছে যে, ফাইভ জি সংক্রান্ত দলিল জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অপোই র্যাংকিংয়ের শীর্ষে অবস্থান করছে।
ফাইভ জি স্মার্টফোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিষয়ে অপো বাংলাদেশ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, স্মার্টফোনের গ্রাহক অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ক্যামেরা থেকে চার্জিংসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে অপো অনেক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। ফাইভ জি ইন্টারনেট সংযোগে অপো অগ্রগামী ছিল, ২০১৯ সালে ফাইভ জি স্মার্টফোন নির্মাণ দ্রুততর করতে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।
-এসএম