প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনলাইনে বাজার করাসহ যাবতীয় সেবা পাওয়া যায়। ডাক বিভাগ থেকেও যেন এসব আধুনিক সেবা দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ শেরে বাংলা নগরে হারিয়ে যেতে বসা ডাকবাক্সের আদলে ১৪ তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ডাক বিভাগের সদর দপ্তর ‘ডাকভবন’ উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এই অত্যাধুনিক কার্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজকর্মে আরও গতিশীলতা আনবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেটারবক্স অনেকে ভুলে গেছে। সবাই এসএমএস ও মেইল করে। কিন্তু দৃষ্টিনন্দন এই লেটারবক্স সদৃশ ভবন দেখলে চিঠি পাঠানোর কথা মনে পড়বে। ভবনে চিঠিপত্র ঝুলছে, চিঠি যাচ্ছে-আসছে, এমন কিছু চিত্র যোগ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় চলছে অনলাইনে। ডাক বিভাগকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ডাক বিভাগকে আরও বেশি সেবামুখী হতে হবে। খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে ফলমূল যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ডাকের সেবাটাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনলাইনে বাজার করাসহ যাবতীয় সেবা পাওয়া যায়। ডাক বিভাগ থেকেও যেন এসব আধুনিক সেবা দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে, ফলমূল সবজি ও খাবার ওই গাড়িতে ভালো থাকে।
তিনি বলেন, একটা কুলিং সিস্টেম রাখতে হবে। গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে ডাকঘরগুলোতে চেম্বারও করতে হবে, যাতে পণ্য ভালো রাখা যায়। রান্না করা খাবারও যেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো যায়। এজন্য কুলিং ও ফ্রিজিং সিস্টেম করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তো ছোট ছোট পোর্টেবল বক্স পাওয়া যায়। যেহেতেু অনলাইন ক্রয়-বিক্রয় জনপ্রিয় হয়েছে, এতে ডাক বিভাগ পিছিয়ে থাকলে হবে না, ডাক বিভাগের এ ব্যাপারে আরও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যবসা করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আগে ডিজিটাল সেন্টার থেকে যেসব সুবিধা পেত, ডাকঘরগুলোতেও একই সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডাকঘর সেবার মানুষের দোরগোড়ায় আরও পৌঁছে দিতে ১১৮টি মেইল গাড়ি সংযুক্ত করেছি। গাড়ি চালানোর জন্য নারীদেরও তৈরি করছি।
ডাকঘরকে ডিজিটালাইজ করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ডাকঘর ডিজিটালে রূপান্তর হয়েছে। আগে আমরা পুরো বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। সেইসঙ্গে ডাকঘরগুলোকে যাতে ডিজিটাল করা যায় তার জন্য কাজ শুরু করেছিলাম। আমরা ইতোমধ্যে ৩৮টি মডেল ডাকঘর নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি।
কিন্তু আমি চাইব সারাদেশে এটা করে দিতে। ঘরে বসে অনেকে কাজ করে পয়সা উপার্জন করতে পারবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান হবে, মানুষ সেবাটাও পাবে। আমাদের সেই ব্যবস্থাটাও করতে হবে।