আতিক রহমান, নওগাঁ থেকেঃ
নওগাঁ রাণীনগর উপজেলার বাসিন্দা জনৈক মোস্তাফিজুর(৩৫) ঢাকা থেকে কয়েকদিন আগে পালিয়ে আসার পর তার করোনা টেস্ট করার প্রয়োজন পড়ে।
এরপর রাণিনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যথারীতি তার নমুনা\সাম্পুল সংগ্রহ করে জেলা সদরের মাধ্যমে রাজশাহী পাঠায়। ফলাফল না আসা পর্যন্ত তার নিজ বাসভবনে অবস্থান করার কথা ছিল ।
কিন্তু সে তা না করে সন্তানের চিকিৎসার নামে পালিয়ে এসে নওগাঁ শহরের বেসরকারী একটি ক্লিনিকে গত দুদিন ধরে অবস্থান করে। (ধারনা করা হচ্ছে যে বাচ্চাটা তার দ্বারা সংক্রমিত )।
এদিকে ক্লিনিকে অবস্থানকালীন সে টাকা উঠাতে ব্যাংকে গিয়েছে এবং শহরের বেশ কিছু জায়গায় সে ঘুরাফিরাও করেছে ।
এরপর হঠাৎ আজ নওগাঁ জেলায় মোট তারসহ ১৭জনের করোনা রেজাল্ট পজেটিভ আসে। নওগাঁ সদর থেকে রাণীনগরে রোগি পজিটিভ ফলাফলেল খবর গেলে যথারীতি বাড়ীসহ তার আশপাশ লকডাউন হবার কথা ! কিন্তু ওই রোগির কোন হদীস মিলছে না ।
শেষে জানা গেল, সে গত দুদিন যাবৎ নওগাঁ অবস্থান করছে। সাথে সাথে নওগাঁ সদর ওসি সোহরাওয়ার্দীকে বিষয়টি অবহিত করলে ওসি মোস্তাফিজকে ফোন করেন।কিন্ত তার ফোন বন্ধ থাকায় সহজে তাকে পাওয়াও যায়নি।
এরই মধ্যে রোগির অবাধ চলাফেরার কারণে অন্য কেহ যেন সংক্রামিত না হয় সে চিন্তা থেকে বাধ্য হয়ে ওসি এসপির নির্দেশে সঙ্গীয় ফোর্স দিয়ে মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে রোগিকে নওগাঁ লিটন ব্রীজের উপর থেকে ধরে ফেলে।
এরপর সাথে সাথে বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে রাখা হয়। এবং রোগির পরিহিত পিপিই পুঁড়ে ফেলে নতুন করে আবার একটি পিপিই পরানো হয়েছে।
বাচ্চাসহ রোগ যে ক্লিনিকে গিয়েছিল সেটিও এখন লকডাউন । সন্দেহভাজন অনেককেই এখন টেস্ট করানো হচ্ছে ।
জানা গেছে ওই রোগি গত কয়েকদিন ধরে যত জায়গায় ঘুরলো ফিরলো সব জায়গায় বিপদজ্জনকভাবে সংক্রমিত করে তুলেতে পারে।
-এফকে